কলকাতা, ২৪ অগাস্ট: বিভিন্ন রাজ্যের লোকেরা জানে, আজ ২৪ অগাস্ট কলকাতা (Kolkata)-র জন্মদিন। গুগলে সার্চ (Google Search) করলেও আসছে এই তথ্য। কিন্তু শহরটার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করে মানুষরা বলেন, কলকাতার সে অর্থে কোনও জন্মদিন নেই। ২৪ অগাস্ট দিনটাকে বড়জোড় বলা যেতে পারে কলকাতার নগরায়ণের শুরুর একটা দিন। কলকাতার কোনও জন্মদিন নেই, নেই কোনও জন্মদাতা। অথচ সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগলে জ্বলজ্বল করে এসব তথ্য। এই ভুল তথ্যের জন্য গুগলকে নোটিস পাঠিয়েছে। সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সে যাই হোক, সেই হিসেবে দেখলে কলকাতার নগরণায়নের শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে ৩৩১ বছর আগে। এই এতগুলো বছরের শহরের ওপর দিয়ে কত ঝড় বয়ে গিয়েছে।
তবু কলকাতা হাসিমুখে সবাইকে বুকে টেনে নেয়। কলকাতাকে বলে প্রাণের শহর। কারণ শহরটার বুকে এমন একটা জীবন আছে, যা সর্বহারা মানুষকেও সাহস জোগায়। কলকাতা সবার। সব শ্রেণীর, সব ধর্মের। কলকাতা ভেদাভেদা জানে না। কলকাতা শেখায় বাঁচতে। আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, কমিশনকে উপনির্বাচন করতে বললেন মমতা ব্যানার্জি
কলকাতাকে বলে তিলোত্তমা শহর। কলকাতা হল সংস্কৃতির রাজধানী। এ শহর নিয়ে গান কম নেই। কবিতা, গল্পের প্রেক্ষাপটও এই শহরটা নিয়ে কম লেখা হয়নি। তবু যেন কলকাতাকে সবটাই বলা হয় না। হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া মেমেরিয়ালের শহর কলকাতায় এখন ঘোরা জায়গা অনেক। অনেকটা ঘোরার পরেও যেন কলকাতা ঘোরা হয় না। কারণ পর্যটন স্থানের বাইরেও কলকাতার একটা আলাদা রূপ আছে, যা শুধু অনুভব করতে হয়।
একটা সময় কলকাতা ছিল দেশের রাজধানী। দেশের প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু সে দিন আর নেই। দিল্লি, মুম্বই তো বটেই চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, পুণেও গ্ল্যামার, অর্থনীতিক কর্মকাণ্ড, চাকরির সুযোগ, পরিকাঠামো সবেতেই টেক্কা দেয় কলকাতাকে। তবু কলকাতা হেসে মেনে নেয় সব কিছু। কলকাতা জানে সময় একদিন তার সঙ্গে ছিল। আবার হয়তো আসবে। এখন লড়ে যাবার সময়। যারা লড়ে তাদের ছায়া দেওয়ার সময়। হারলে চলবে কেন! কলকাতা তো অপরাজিত। অপরাজিতদের জন্য।