আগুনের প্রতীকী ছবি Photo Credits: Flickr

কলকাতা, ৩ এপ্রিল: আগুনের গ্রাস থেকে রেহাই মিলছে না কলকাতার (Kolkata)। স্ট্র্যান্ডরোডে রেলের অফিসের পর, স্ট্র্যান্ড রোডে পাঞ্জাব ব্যাংকের প্রধান অফিসেও লাগে আগুন। গতকাল লেনিন সরণীতে আগুন লেগেছিল। এদিক শনিবার সকাল হতে না হতেই আগুনে ভস্মীভূত তপসিয়ার জুতোর কারখানা। ভোর চারটে নাগাদ ২১ নম্বর তপসিয়া রোডে জুতোর কারখানায় আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো বাড়িটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়রাই কারখানার ছাদ ভেঙে নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে কারখানার ভিতরে পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের কালঘাম ছুটছে। ঘিঞ্জি এলাকায় সাতসকালে আগুন লাগায় উত্তেজনাও ছড়িয়েছে।

গতকালই জ্যোতি সিনেমার লাগোটা এক বাড়িতে আগুন লাগে ভরদুপুরে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। খবর পেয়ে দমকলের আটটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই তবে গত ৩১ মার্চ স্ট্র্যান্ড রোডের আগুন ভয় ধরিয়ে ছিল।সাতসকালে স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ বহুতলের চারতলায় আগুন লাগে। নীচের তলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আরও পড়ুন-Assam Assembly Election 2021: 'পোলিং অফিসারেরা সাহায্য চেয়েছিলেন', গাড়িতে ইভিএম রাখার বিতর্কে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ স্ট্র্যান্ড রোডে ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে, আগুনের গ্রাসেই প্রাণ হারালেন কয়েকজন দমকলকর্মী।  রেলের কয়লাঘাট ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। বদ্ধ লিফটের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সেই আগুনে ২টি লিফটে আটকে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের। কয়লাঘাটের ওই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছিলেন। স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুর দায় কার? রেলের গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে খবর পেয়েও দমকলের বিরুদ্ধেই দেরিতে যাওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।