ঘাযতীনের (Baghajatin) হেলে পড়া ফ্ল্য়াট নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, জলাভূমির ওপরে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছিল ওই ফ্ল্য়াটটি। ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাটের প্রোমোটার সুভাষ রায় ও ৮ বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাট মালিকদের সম্মতিতেই প্রোমোটার হরিয়ানার একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে লিফ্টিংয়ের কাজ করছিল। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর বা কলকাতা পুরনিগমের থেকে এই কাজের জন্য কোনওরকমের অনুমতি নেয়নি বলে অভিযোগ।
আগে থেকেই হেলে ছিল বাড়িটি
বুধবার বাঘাযতীনের ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ার ঘটনার একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় কলকাতা পুরনিগমে। তদন্ত করে বিল্ডিং বিভাগের ডিজি উজ্জ্বল রায়ের নেতৃত্বাধীন ইঞ্জিনিয়রদের একটি প্রতিনিধি দল। ওই রিপোর্টে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরের বিদ্যাসাগর কলোনীতে ভেঙে পড়া বাড়ির জন্য মূলত কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে হরিয়ানার লিফ্টিং সংস্থাকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাড়িটি আগে থেকেই সামান্য হেলে ছিল। কিছুদিন আগেই ফাটল দেখা যায় এবং নীচের তলার অংশটি নাকি ভেঙেও যায়। আর সেই কারণেই ওই সংস্থাকে লিফ্টিংয়ের কাজ দেওয়া হয়ছিল।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চলছিল কাজ
তদন্তে জানা গিয়েছে, লিফ্টিংয়ের কাজ করছিল কয়েকজন অদক্ষ শ্রমিকরা। কোনও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে ছিল না। এবং কোনও ইঞ্জিনিয়রের পরামর্শ না নিয়েই এই কাজ করা হচ্ছিল। যে কারণে এই বিপত্তি ঘটে। স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই কাজ চলছিল, কিন্তু কারোরই কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকী কাজ বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়ছিল, কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করেই কাজ চলছিল। আর সেই কারণেই এই বিপত্তি ঘটে। যদিও মঙ্গলবার রাত থেকেই বিল্ডিংটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।