এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর: ব্লাড ক্যান্সার (Blood Cancer) আক্রান্ত মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। হাসপাতালেই তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বাবা। ডাক্তারের (Doctor) খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছেন হাসপাতালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। এমন ঘটনা কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের (Kolkata NRS Medical College Hospital)। সোমবার সকালে এমনই অসহায় দৃশ্যের সাক্ষী হলেন হাসপাতালে উপস্থিত রোগীর পরিবারের লোকজন। সকাল থেকে টানা দৌড়াদৌড়ি করেই শেষমেশ মেয়ের জন্য ডাক্তার খুঁজে পেলেন না অসহায় বাবার। অমানবিকতার চেহারা ধরা পড়ল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়।

অভিযোগ, হাসপাতালে এসে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। হেমাটোলজি বিভাগের আউটডোরে টিকিট করে রোগীকে নিয়ে যান তাঁরা। হেমাটোলজি বিভাগ থেকে বলে দেওয়া হয় এই রোগীর মানসিক চিকিৎসা দরকার। তাই তাঁরা যেন সাইক্রিয়াট্রি বিভাগে টিকিট (Ticket) কেটে দেখাতে যান। দুর্ভোগের শুরু সেখান থেকেই। কয়েকশো মানুষের ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ফের নতুন করে টিকিট কেটে দেখাতে হবে রোগীকে। মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাঁকে শিকল-তালা দিয়ে বেঁধে রেখেই এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে ছুটে বেড়াতে হল অসহায় দিনমজুর বাবাকে। বেলা গড়িয়ে দুপুর ২ টো হয়ে যায়। শেষমেশ আউটডোরে পৌঁছতে আউটডোরে তালা পড়ে যায়। আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee On CAB: 'নাগরিকত্ব বিলে ভয় পাবেন না পাশে আছি, একজনকেও তাড়ানো চলবে না'; কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা ব্যানার্জি

বছর পঁচিশের তরুণী আনসুরা বিবি। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে কলকাতায় পরিষেবা পেতে এসেছিলেন। কিন্তু কপালে জুটল চূড়ান্ত দুর্ভোগ। হেনস্থার শিকার হতে হল দিনমজুর পরিবারকে। বছরখানেক আগে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে আনসুরা বিবির। ৫ বছরের সন্তান সহ আনসুরা বিবিকে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এরপরই এনআরএসের হেমাটোলজি বিভাগে মাসখানেক আগে তাঁর চিকিৎসা (Treatment) শুরু হয়। প্রায় ১৬টি কেমো দেওয়া হয় আনসুরা বিবিকে। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী,  এরপরই মানসিক সমস্যা শুরু হয় আনসুরা বিবির। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের লোকেরা।