কলকাতা, ২২ জানুয়ারি: রাজ্যের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কলকাতায় আজ জানালেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা (CEC Sunil Arora)। আজ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ফুল বেঞ্চের সঙ্গে আজ মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ বিভিন্ন দফতরের সচিবদের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার। গতকাল দিনভর প্রশাসনিক কর্তা ও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা, ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার, সুশীল চন্দ্র-সহ ফুল বেঞ্চের প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, একাধিকবার ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংকে। আজ নির্বাচন কমিশন সুনীল অরোরা বলেন, "সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করতে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আমাদের গভীর আলোচনা হয়েছে। বেশিরভাগেরই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে এবং হাই ভোল্টেজ নির্বাচনের কথা বলেছে। যার কারণে রাজনৈতিক হিংসা হতে পারে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিকে থামিয়ে দিতে পারে।" তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েনও চেয়েছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোটার তালিকায় অসঙ্গতিও তুলে ধরেছে।" আরও পড়ুন: UPSC Exam: ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ নয়, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার
সুনীল অরোরা জানান, কোভিডের কারণে রাজ্যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে ৭৮,৯০৩টি ভোটকেন্দ্র ছিল। রাজ্যে এখন ১ লাখ ১ হাজার ৭৯০টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। সমস্ত ভোটকেন্দ্র গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবে। আমরা মুখ্যসচিব, ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি যে ভোটগ্রহণ সম্পর্কিত কোনও কাজ সিভিক পুলিশকে রাখা হবে না। বিএসএফ সম্পর্কে তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে অরোরা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক যে একটি দল বিএসএফ সম্পর্কে অভিযোগ করেছে। আমি কংক্রিট উদাহরণ চেয়েছি। তারা (বিএসএফ) দেশের অন্যতম সেরা বাহিনী। তাদের জড়ানোর কোনও কারণ নেই।