মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo Credits: ANI/File)

কলকাতা, ১৩ অক্টোবর: আগামী বছর রাজ্যের প্রায় ১০৭টি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। আর তাই শুরু হতে চলেছে 'দিদিকে বলো' (Didi Ke Bolo) র আরেকটি ধাপ। পুরভোটের আগে একটি দলীয় সমীক্ষা করবে তৃণমূল (Trinamool)। তৃণমূল সূত্রে খবর, কর্পোরেশন এলাকায় একটি ওয়ার্ড ভিত্তিক সার্ভে করা হবে। তার আগে দলের যেটা দেখা হবে তা হল- মানুষের মধ্যে জনভিত্তি কতটা মজবুত, সংগঠন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, পাশাপাশি বর্তমান কাউন্সিলারদের এলাকাভিত্তিক ভাবমূর্তি কেমন এসব কিছুই দেখতে সমীক্ষায় নামতে চলেছে তৃণমূল। এসমস্ত কিছু দায়িত্বভার রয়েছে আইপ্যাকের (IPAC) কাছে।

আগামী ১৫ অক্টোবর তৃণমূল ভবনে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ বৈঠকের। সেখানে দলের সব ব্লক ও ওয়ার্ড সভাপতিদের ডাকা হয়েছে। বৈঠকে একইসঙ্গে উপস্থিত থাকবেন জেলা সভাপতিরাও। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অবশ্যই আইপ্যাকের প্রধান প্রশান্ত কিশোর। আরও পড়ুন, রানাঘাটে বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ শহরে বিক্ষোভ বিজেপি-র

বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুজোর মধ্যেই তৃণমূলের শীর্ষ মহলের তরফে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশকিছু নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ড পিছু লোকজনের নাম-ঠিকানা চেয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রতি ব্লক অথবা ওয়ার্ড সভাপতিকে সেই ২০ জনের নামের তালিকা, রাস্তার নাম-ঠিকানা-ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছে দলের কাছে। এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে জমা করতে বলা হয়েছে বলে খবর। সেই ২০ জনের মধ্যে দলীয় নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বাইরে আমজনতা ও বিশিষ্টদের নামও যেন থাকে সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতি বুথে ৩ জন করে কর্মীরও নাম ব্লক সভাপতিদের থেকে চাওয়া হয়েছে। এদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবে শীর্ষ নেতৃত্ব | প্রয়োজনে সরাসরি এদের সঙ্গে কথা বলে সেই বুথ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই সমীক্ষায় প্রতি বুথে নির্দিষ্ট ৩ জন বুথ কর্মীদের দিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হবে। তাদের মাধ্যমে স্থানীয়দের মতামত সংগ্রহ করা হবে। অন্যদিকে, প্রতি বুথ ভিত্তিক যে ২০ জনের নামের তালিকা চাওয়া হচ্ছে, তাঁদের থেকেও ফোন করে মনোভাব বোঝার চেষ্টা চলবে। এর থেকে বোঝা যাবে কোন কাউন্সিলারের ভাবমূর্তি কেমন, এলাকায় কোন তৃণমূল নেতার কেমন আচরণ, কাকে কাউন্সিলারের টিকিট দিলে ওই এলাকায় সন্তোষজনক হবে ভোটের ফল, এলাকায় মানুষ কাকে চাইছেন, এলাকাভিত্তিক কী কী সমস্যা, বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিংবা ফোন করে মানুষের সেই মনোভাব জানবে আইপ্যাক। সেইমতো তৈরি হবে রিপোর্ট। আর তা জমা পড়বে তৃণমূল নেত্রীর কাছে। সেই রিপোর্ট বিচার বিশ্লেষণ করেই তৈরি হবে পুরভোটের প্রার্থী তালিকা।