করোনাভাইরাস (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ৫ এপ্রিল: গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মৃত্যু হল চার জনের। ‌এদের চারজনের পরীক্ষাতেই করোনাভাইরাস (COVID-19) পজেটিভ পাওয়া যায়। তবে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণেই এদের মৃত্যুর কারণ কি না তা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, রবিবার সকালে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৫৯ বছর বয়সী শেওড়াফুলির এক বাসিন্দার। তাঁর শরীরে করোনা পজিটিভ মেলে। গত ২৮ মার্চ থেকে ভর্তি ছিলেন ওই ব্যক্তি। শনিবার রাতে পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের। কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের ৪৯ বছর বয়সী ওই মহিলা। তাঁর শরীরেও করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। অন্যদিকে এনআরএস হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় দু’জনের।

উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (North bengal medical college) মৃত ব্যক্তি শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধাননগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে৷ তাঁর বয়স ৫৩ বছর৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৬ মার্চ মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন৷ শনিবার তাঁর পরীক্ষা করা হয়৷ সেখানেই পজিটিভ ধরা পড়ে৷ তবে, করোনার জেরেই তাঁর মৃত্যু কি না তা এখনও সরকারিভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। উত্তরবঙ্গে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হওয়া মহিলার সঙ্গে একই কোয়ারান্টিন চিকিৎসা চলছিল পেশায় রেলকর্মী এক ব্যক্তির। প্রথমে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে, চিকিত্সকরা তাঁকে ছুটি না দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখেন। ফের পরীক্ষা হয় তাঁর। এরপর ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। আরও পড়ুন: Coronaviru In West Bengal: উত্তরবঙ্গে মেডিকেলে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর মৃত্যু

অন্যদিকে, এনআরএস হাসপাতালে ৩৪ বছর বয়সী যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর কোনও ট্রাভেল রেকর্ড নেই বলে খবর। চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ, বেলেঘাটা হাসপাতাল ঘুরে গত সোমবার ভর্তি হন এনআরএস হাসপাতালে। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, ওই রোগীর চিকিত্সারত ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ৫০ জনকে কোয়ারান্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।