নবান্ন (Photo Credit: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর: পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে। উত্তেজনা এখন নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে অশান্তির কোনও খবর নেই। এই পরিস্থিতিতে হাওড়া (Howrah) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, এই দুই জেলার জেলাশাসককে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। যদিও বাকি ৪ জেলায় এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকছে। উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনায় এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না ইন্টারনেট পরিষেবা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Act ) প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ও হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় প্রথম বিক্ষোভ দেখা দেয়। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ ছড়ায় মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। ট্রেনে পাথর ছোড়া, ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৬টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। রাজ্যে শান্তি ফেরাতে এরপর সোমবার থেকে ৩ দিন পদযাত্রায় সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। হিংসার পথ ছেড়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কাল রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যসচিব ও ডিজি। মুখ্যসচিব ও ডিজি-র কাছে পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে আজ নবান্নের তরফে দুই জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আরও পড়ুন:  Mamata Banerjee On Detention Of Ramchandra Guha: ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে আটক করায় টুইটারে তোপ মমতা ব্যানার্জির

এদিকে আজও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে CAA-র বিরোধিতায় পথে নামে সাধারণ মানুষ। বেঙ্গালুরু-সহ রাজ্যে বিভিন্ন অংশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক হয়েছেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ (Ramachandra Guha)। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। টুইটারে এনিয়ে তিনি তোপ দেগেছেন। মমতা ব্যানার্জি লেখেন, "এই সরকার শিক্ষার্থীদের ভয় পায়। সিএএ (CAA) ও এনআরসি (NRC) নিয়ে সাংবাদমাধ্যমে কথা বলার জন্য ও গান্ধীজি-র পোস্টার ধরার জন্য এই সরকার ভারতের অন্যতম সফল ইতিহাসবিদকে ভয় পায়। রামচন্দ্র গুহকে আটকের নিন্দা জানাচ্ছি আমি। আটক হওয়া সকলের প্রতি আমরা আমাদের সম্পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।"