কলকাতা (Photo Credit: File Photo)

কলকাতা, ১১ মে: বুধবার থেকে কলকাতায় চলবে সরকারি বাস (Government Bus)।  ১৫ টি রুটের বাস চলবে। হাওড়া থেকে বেশিরভাগ বাস চলবে। ধর্মতলা, উল্টোডাঙা, ডানলপ থেকে চলবে বাস। চালকদের মাস্ক, গ্লাভস পড়তে হবে। বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। জরুরি পরিষেবায় অ্যাপ ক্যাব চলবে। ২ জনের বেশি তোলা যাবে না ক্যাবে। তবে কনটেনমেন্ট এলাকায় চলবে না বাস। মাত্র কয়েকটি রুটেই চলবে বাস। জরুরি পরিষেবা দিতেই এই উদ্যোগ।

আজ মমতা ব্যানার্জি বলেন, “সরকার যখন স্থল সীমানা থেকে শুরু করে ট্রেন, প্লেন সবই চালানো শুরু করে দিয়েছে, তখন ১৭ মে-র পর আর লকডাউন চালিয়ে কী লাভ।" তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের সরকার একটার পর একটা পরিষেবা শুরু করে দিচ্ছে, আর রাজ্যগুলিকে বলা হচ্ছে এ জন্য যে সংকট তৈরি হচ্ছে তা মোকাবিলা করতে।" প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি এই বিষয়টায় নজর দিন। এটা স্ববিরোধিতা হচ্ছে। বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাতে সংক্রমণ রুখতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। আমার মতে, কী খোলা থাকবে আর কী খোলা থাকবে না সে ব্যাপারটা ঠিক করার দায়িত্ব রাজ্যের হাতে ছেড়ে দিন। রাজ্য বাস্তব পরিস্থিতি ও নিজেদের ক্ষমতা বুঝে ঠিক করুক কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আরও পড়ুন, পুনরায় বুকিং চালু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেল হাওড়া-নয়াদিল্লির স্পেশাল ট্রেন টিকিট

আজ রাজ্যের চা-বাগানগুলিও খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। চা বাগানে ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয় রাজ্য। আর তাতেই স্বস্তি ফেরে উত্তরবঙ্গের ৩০২ টি চা বাগানে। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাগান মালিকদের সংগঠন, শ্রমিক-কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়নগুলি। তবে বেশ কিছু শর্ত মেনে চা–বাগানে পাতা তোলা এবং অন্যান্য কাজকর্ম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং জীবাণু মুক্তির ব্যবস্থা করেই পাতা তুলতে হবে। স্থানীয় শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই কাজ করতে হবে। সোমবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘‌লকডাউনে বহু ক্ষতি হয়ে গেছে চা–শিল্পে। বাগানগুলো অনেকটা এলাকা নিয়ে। তাই এই শিল্পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা যায়। পাতা তোলার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করেন।’‌’