অমিত শাহ

কলকাতা, ২১ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) জন্য আজ দলীয় ইস্তেহার (Manifesto 2021) প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে 'সঙ্কল্পপত্র' প্রকাশ করা হয়। ইস্তেহার প্রকাশের সময় 'ভারত মাতা কি জয়', 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানে মুখরিত হয় ভবন।

ইস্তেহার প্রকাশের লক্ষ্যে নির্বাচন ঘোষণার আগেই সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে তৈরি হয় কমিটি। সেই কমিটির সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনমত সমীক্ষা করেছেন। 'সোনার বাংলা' গড়তে তাড়া কী কী চান- সে সবের ওপরে খেয়াল রেখেই বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরি হয়েছে, বলে জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

অমিত শাহ (Amit Shah) ইস্তেহার প্রকাশের পর জানান,'এটি শুধু ঘোষণা নয়, এটি সঙ্কল্প। ভবিষ্যতে কীভাবে সোনার বাংলা গড়ব তা এতে রয়েছে। ইস্তেহারের ওপরই বিজেপি চলে। বাংলা বরাবরই শুধু দেশ নয় বিদেশেও পথপ্রদর্শক ছিল। বাংলার বাজেটের ১৫% এই সঙ্কল্পপত্রে বরাদ্দ হবে।'

বিজেপির 'সোনার বাংলা সঙ্কল্পপত্র ২০২১' অনুযায়ী-

মহিলাদের জন্য ৩৩% সংরক্ষণ।

বাংলার গরিবদের জন্য আয়ুষ্মান ভারতে আনা হবে।

কিষান সম্মান নিধি যোজনায় বকেয়া ১৮ হাজার টাকা দেওয়া ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করা হবে, তারপর বছরে ১০ হাজার টাকা।

মৎস্যজীবীদের জন্য বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান।

কেজি থেকে পিজি মহিলাদের বিনামূল্যে শিক্ষা পরিষেবা দেওয়া হবে।

রাজ্যে ৩টি এইমস গঠন করা হবে।

অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে। সীমান্ত সুরক্ষা বাড়ানো হবে।

সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হবে।

শৌচালয় এবং পরিষ্কার পরিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা হবে।

নোবেল পুরস্কারের মতো টেগোর পুরস্কার চালু করা হবে।

সরকারি বাসে মহিলাদের যাতায়াত বিনামূল্যে।

বিধবাদের পেনশন বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হবে।

'ওয়ান নেশন, ওয়ান হেলথ কেয়ার কার্ড' চালু করা হবে।

বাংলাকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলতে `১১,০০০ কোটি সোনার বাংলা তহবিল স্থাপন করবে ।

বাংলাকে রাষ্ট্রপুঞ্জে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।

রাজ্য জুড়ে সমস্ত মন্দির মেরামত ও সংস্কারের জন্য ১০০ কোটির তহবিল গঠন করা হবে।

প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে আয়ুষ্মান ও সিএএ-তে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

মৎস্যজীবীদের জন্য সমস্ত নৌকা ব্যাটারিচালিত করা হবে।

রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারিতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে ১০ হাজার কোটির তহবিল।

স্কুল পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য বিদ্যাসাগরের নামে ২০ হাজার কোটির তহবিল।

‘রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য কমন এলিজিবল টেস্ট চালু হবে।

শৈলেন মান্না স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করা হবে।

আধাসেনায় নারায়ণী সেনা ব্যাটালিয়ন চালু হবে।

এমএসএমই-তে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টার ছাড়াই ঋণ দেওয়া হবে।

শহরে পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩০ হাজার কোটি বরাদ্দ। বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি হবে।

গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে ২৫০০ কোটির তহবিল।

শান্তিনিকেতনকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা দিতে ১৫০ কোটি বরাদ্দ হবে।

টলিউডের কলাকুশলীদের সাহায্য করা হবে।

রাজ্যে ৯টি পৃথক পর্যটন সার্কিট তৈরি হবে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫ টাকায় ৩ বেলার খাবারের ব্যবস্থা হবে।

এসসি, এসটি সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হবে।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৫০ করা হবে।

আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য মডেল স্কুল তৈরি হবে।

কলকাতার উন্নয়নে ২২ হাজার কোটির তহবিল।

কালীঘাটের আদিগঙ্গার সংস্কার করা হবে।