কলকাতা, ৩১ মার্চ: রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (COVID-19) সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মধ্যবয়স্ক এক রোগীর মৃত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য এসএসকেএমে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট আসার আগেই প্রাণ হারালেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছালো তিনে। মৃতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগ পাওয়া গিয়েছে। এদিকে রবিবার আক্রান্ত চার জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান চিকিৎসকেরা। আলিপুরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি, আক্রান্ত চিকিৎসকের সরাসরি সংস্পর্শে আসা ৩৪ জন কোয়রেন্টাইনে আছেন। ওই চিকিৎসকের কাছাকাছি এসেছিলেন আরও ৪৩ জন। মধ্যপ্রদেশ-যোগে লেক টাউনের নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন, বরাহনগরের বাসিন্দা ৬৬ বছরের বৃদ্ধকে এ দিন দত্তাবাদ সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সেখানে আরও এক আক্রান্ত, শোভাবাজারের ৭৭ বছরের বৃদ্ধ ভেন্টিলেটরে আছেন। জ্বর নিয়ে ২৪ মার্চ বহির্বিভাগে দেখাতে যান বড়বাজারের ওই কাপড়ের ব্যবসায়ী। ২৮ তারিখে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়। রবিবার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। সম্প্রতি যে-তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দাসপুরের ৩২ বছর বয়সি এক যুবক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আছেন। ওই মেডিক্যালে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনার ইঙ্গিত মেলে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেটি নাইসেডে পাঠানো হয়। নাইসেডের খবর, নিশ্চয়তার পরীক্ষাতেও যুবকের দেহে করোনা মিলেছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Death Toll: লকডাউনের মধ্যেই নিজামুদ্দিনে তবলিকি জমাত বাড়ালো মৃত্যুমিছিল, একই দিনে তেলেঙ্গানায় মৃত ৬
Another coronavirus patient dies in West Bengal; COVID-19 deaths in state rise to three: Health Officials
— Press Trust of India (@PTI_News) March 31, 2020
সোমবার করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁল ৪০। চলতি মাসের গোড়ার দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিনে যে ৬ জন তবলিকি জমাতে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা প্রত্যেকেই এই ধর্মীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন। নিজামুদ্দিন (Nizamuddin) এলাকায় য়ে সভা ১৩ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলেছে। মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি তেলেঙ্গানায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এই ছয় জনের মধ্যে ২ জন গান্ধী হাসাপাতালে মারা গিয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালে। গ্লোবাল হাসপাতালে ভর্তি থাকা চতুর্থ ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়েছে। নিজামাবাদ ও গাদওয়াল জেলা থেকে বাকি দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।