Twitter Blue Tick Photo Credit: Pixabay

মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ব্লু টিক বা নীল টিক থাকা মানে সেটা আসল অ্যাকাউন্ট। ফেসবুকের মতই অনেকেই সেলেবদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট করে থাকেন। আসল নাকি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ধরতে টুইটারে ব্লু টিক খুব সাহায্য করে। কিন্তু টুইটার কেনার পর মার্কিন শিল্পপতি ইলন মাস্ক এই ব্লু টিক নিয়ে নয়া নীতি চালু করেছেন। এবার থেকে টুইটারে ব্লু টিক রাখতে হলে ভারতীয় মুদ্রায় খরচ করতে হবে বছরে ৯ হাজার ৪০০ টাকা। যারা এই টাকা দেবে, তারা ব্লু টিক পাবেন। সাবস্প্রিশনের পিছনে অর্থ খরচ না করলে, যত বড় সেলেব্রিটি বা রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক পদস্থ ব্যক্তি হোক না কেন, তাদের অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকবে না। একেবারে ফেলো কড়ি, লহ নীল চিহ্নের মত ব্যাপার।

মাস্কের এই নিয়মে, টুইটারে ব্লু টিক হারা হলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, বিরাট কোহলির মত অত্যন্ত জনপ্রিয় সেলেবদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টও। আলিয়া ভাট সহ বলিউডের বিভিন্ন সেলেবদেরও টুইটারে নীল সঙ্কেত মুছে ফেলা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের টুইটার অ্যাকাউন্টেও নেই ব্লু টিক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার অ্যাকাউন্টেও নীল টিক চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। বিরাট কোহলির পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার টুইটার অ্যাকাউন্টেও ব্লু টিক নেই। ফলে কিছুতেই বোঝার উপায় থাকছে না তাদের অ্যাকাউন্টগুলি টুইটারে ভ্যারিফায়েড বা যাচাই করা হয়েছে কি না।

দেখুন টুইট

২০০৯ সালে টুইটারে ব্লু টিক চালু হয়েছিল। তাতে সেলেব, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্র্যান্ড সহ মানুষের আগ্রহের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের সত্যতা যাচাই করতে সুবিধা হত ইউজারদের। ক মাস আগে টুইটার কেনার পরেই মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন টুইটার ব্লু নামের এক প্রিমিয়ম সুবিধা যাতে ব্লু টিকের মত চেক-মার্ক ব্যাচ থাকবে, তবে তার জন্য খরচ করতে হবে ভারতীয় মুদ্রায় ৯০০ টাকা।