নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ার (Social media) অপব্যবহার (misuse) নিয়ে সতর্ক করল বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay) নাগপুর বেঞ্চ (Napur bench)। চিন্তাভাবনার আদানপ্রদানের ক্ষেতে শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার। ফলে এর অপব্যবহারের ফলে জনমানসে প্রবল প্রভাব পড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নাগপুর বেঞ্চের বার্তায়।
সোমবার নাগপুর বেঞ্চের দুই বিচারপতি (Justice Sunil B. Shukre) সুনীল বি শুখরে ও বিচারপতি এম. ডব্লউ চন্দ্র (J ustice M.W Chandwani) ওয়ানি তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানান, প্রত্যেককেই তাদের অনুভব ও কমেন্ট করার বিষয়ে খুবই সচেনতা থাকবে হবে যাতে তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও দাবিমূলক ও অশ্লীল মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারি ব্যবহার ও অপব্যবহারে মধ্যে যাতে ব্যবহারকারী সামঞ্জস্য বজায় রাখেন তার জন্যও সতর্ক করা হয়েছে।
আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভারতীয় গণতন্ত্র ক্রমশ উন্নতির শিখরে উঠছে। তাই এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে যথাযোগ্য সমালোচনা, ভদ্র, পরিসংখ্যান সংক্রান্ত মন্তব্যই কাম্য। গণতন্ত্রে সোশ্যাল মিডিয়াতে মন্তব্য করা একটি অধিকার। এটা গণতন্ত্রের একটি অন্যতম স্তম্ভ যতক্ষণ পর্যন্ত এখানে বিতর্কিত পোস্ট করা হচ্ছে। যে পোস্টে প্রকাশ্যে মম্তব্যর কারণে সাইবার ক্রাইমের নিয়মের বিরুদ্ধে কাজ হচ্ছে ।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম প্রভৃতি বর্তমানে অনুভূতি প্রকাশের কাজে একটি শক্তিশালি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। অনুভতির প্রকাশ, পরামর্শের প্রকাশ, কোনও অনুপ্রতির পালটা প্রতিক্রিয়া, জটিল ও পরিসংখ্যানগত প্রমাণের প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে এগুলিই গণতন্ত্রকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। তবে র্বতমানে বিভিন্ন করে মন্তব্য ও প্রবন্ধ পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে হচ্ছে। যা সংবিধানের ১৯ (২) আর্টিকেলের পরিপন্থীয
এবিষয়ে বিধায়ক রবি রানার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ৩৯ বছরের একট যুবক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল। এই বিষয়ে অভিযুক্তের নামে একটি এফআইআরও দাখিল হয়।সোমবার এই মামলাটি খারিজ করে আদালত জানায় এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়।