iPod (Photo: IANS)

ক্যালিফোর্নিয়া, ১১ মে: একটি যুগের সমাপ্তি হতে চলেছে। টেক সংস্থা অ্যাপল (Apple) জানিয়েছে যে তারা আর আইপড (iPod) উৎপাদন করবে না। সর্বশেষ মডেল আইপড টাচের (iPod Touch) উৎপাদনও আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। মজুত থাকা পর্যন্ত এই পণ্যটি কিনতে পারা যাবে। যার মানে অ্যাপলের পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার (Portable Music Players) পরিবারের শেষ অবশিষ্ট মডেলটি আর তৈরি করা হবে না। একটি নোটে, অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী বিপণনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্রেগ জোসওয়াক বলেছেন, অ্যাপল মিউজিক অন্যান্য পণ্যের মাধ্যমেই আইপড বেঁচে থাকবে। আইপড-র প্রথম মডেলটি ২০ বছরের বেশি আগে ২০০১ সালে চালু হয়েছিল। জোসওয়াক বলেছন, "সংগীত সবসময়ই অ্যাপলের মূল অংশ ছিল। কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারীর কাছে এটি পৌঁছেছিল। সংগীত শিল্পের চেয়েও অনেক বেশি প্রভাবিত করেছে আইপড।"

২০০১ সালে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস আইপড চালু করার পরপরই এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র গান শোনাই নয় বরং কিছু বৈশিষ্ঠ এটিকে ব্যবহারকারীদের কাছে অনন্য করে তুলেছিল। অনন্য স্ক্রোল হুইল এবং কমপ্যাক্ট আকার আইপডকে একটি জনপ্রিয় পণ্য করে তুলেছিল। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইপডের প্রথম কয়েকটি মডেল, যেমন আইপড ন্যানো এবং আইপড শাফল শুধুমাত্র গান শোনার জন্য ছিল। ২০১৯ সালে আইপড টাচ মডেল বাজারে এনেই এই পণ্যে আমূল পরিবর্তন আনে আ্যাপল। গান শোনার জন্য আধুনিক সুবিধা দেওয়া হয় এতে। টাচস্ক্রিন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় আইপড টাচে। এছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। আরও পড়ুন: Twitter Ban On Donald Trump: ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর থেকে টুইটারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন, জানিয়ে দিলেন ইলন মাস্ক

যদিও কয়েকটি অভিযোগও তুলে আইপড-র ব্যবহারকারীরা। বলা হয়, আইপড টাচের হার্ডওয়্যারও সত্যিই আপ-টু-ডেট ছিল না। ২০১৬ সালের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছিস, যেটি পুরনো আইফোন-৭ মডেলে ব্যবহার করা হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে অ্যাপল আইপডের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছিল না। কারণ, অ্যাপল জানত যে আইপড এবং অন্যান্য মিউজিক প্লেয়ারকে ছাপিয়ে যাবে আইফোন। আইফোনে ফোন করা, ইন্টারনেট ব্যবহার, গান শোনা-সহ সমস্ত সুবিধা রয়েছে। তাই শুধুমাত্র গান শোনার জন্য অতিরিক্ত একটি ডিভাইস ব্যবহারে অনীহা দেখাবে গ্রাহকরা।