সোমবার আইপিএল ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নামা গুজরাট টাইটান্স রেকর্ড রান করল। আইপিএলের ফাইনালের ইতিহাসে প্রথমে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশী রান করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট। পঞ্চমবার আইপিএল জিততে হলে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের করতে হবে ২১৫ রান। গুজরাটকে দারুণ জায়গায় দাঁড় করালেন ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন। শুবমন গিলকে নিয়ে চলা উন্মাদনার মাঝে আইপিএল ফাইনালের মঞ্চে মাতিয়ে দিলেন বাংলার ঋদ্ধি, তামিলনাড়ুর সাই সুদর্শন।

৪৭ বলে ৯৬ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন সাই সুদর্শন। ২১ বছরের তামিলনাড়ুর ব্যাটার সাই মারলেন ৮টি বাউন্ডারি, ৬টি ওভার বাউন্ডারি। তবে ফাইনালে গুজরাটের মজবুত ভিতটা গড়েন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। ঋদ্ধিমান সাহা ৩৯ বলে ৫৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে ২১ বলে ২১ রানের ক্য়ামিও ইনিংস খেলেন গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ধোনিদের ফিল্ডিং একেবারেই খারাপ হয়। বোলিংয়েও দৈনতা ধরা পড়ে। চেন্নাইয়ের পেসার তুষার দেশপান্ডে ৪ ওভারে দেন ৫৬ রান। আরও পড়ুন- দেখুন ধোনির দুরন্ত স্ট্য়াম্পিং

আইপিএলের ফাইনালে এর আগে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডটা ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দখলে। ২০১৬ আইপিএল ফাইনালে আরসিবি-র বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৭ উইকেটে ২০৮ রান। আজ, সোমবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সিএসকের বিরুদ্ধে হার্দিকরা সেই রেকর্ড ভাঙলেন। আইপিএল ফাইনালে এবার নিয়ে মোট ৬ বার ২০০ প্লাস ইনিংস গড়ল কোনও দল। ২০১১ আইপিএলের ফাইনালে আরসিবি-র বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ধোনির সিএসকে ২০৫ রান করেছিল।

দেখুন টুইট

ফাইনালে দু দলের প্রথম একাদশ

চেন্নাই সুপার কিংস একাদশ-ঋতুরাজ গায়কোয়েড়, ডেভন কনওয়ে, আজিঙ্কা রাহানে, মইন আলি, আম্বাতি রায়াড়ু, রবীন্দ্র জাদেজা, এমএস ধোনি (অধিনায়ক, উইকটকিপার), দীপক চাহার, তুষার দেশপান্ডে, মহেশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা।

গুজরাট টাইটান্স একাদশ- শুভমান গিল, ঋদ্ধিমান সাহা (অধিনায়ক, উইকটকিপার), বি সাই সুদর্শন, হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), বিজয় শঙ্কর, ডেবিড মিলার, রশিদ খান, রাহুল তেওয়াতিয়া, নুর আহমেদ, মোহিত শর্মা, মহম্মদ সামি।

চেন্নাই ( ৪ বার চ্যাম্পিয়ন) ২০১০, ২০১১, ২০১৮,২০২১.

গুজরাট (১ বার চ্যাম্পিয়ন) ২০২২