সম্প্রতি বাংলাদেশের পাকিস্তানে টেস্ট সফরের শেষ টেস্টে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেন নাহিদ রানা (Nahid Rana)। রাওয়ালপিন্ডিতে আয়োজিত দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল ডেলিভারি করে নতুন রেকর্ড গড়েন এই তরুণ পেসার। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম বল। এর আগে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার কোটা অতিক্রম করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো বোলার। সর্বোচ্চ ১৪৯.৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করার রেকর্ড ছিল পেসার রুবেল হোসেনের। গত ২ সেপ্টেম্বর রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে এই মাইলফলক অর্জন করেন নাহিদ রানা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আয়োজকদের অলআউট করে দেন তিনি। পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ, বাবর আজম, সৌদ শাকিল ও আবরার আহমেদের উইকেট নেন রানা।এরফলে বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দিনে দিনে তিনি পরিচিতি পাচ্ছেন 'চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক্সপ্রেস' নামে। Bangladesh Cricket Team: রাওয়ালপিন্ডিতে জোড়া জয়ে ইতিহাস নাজমুলদের, পাকিস্তানকে পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ করে ২-০ সিরিজ জয় বাংলাদেশের
নাহিদ রানার দ্রুততম বল
Remember this name #NahidRana 🔥
6”2” tall fast bowler who can bowl 150+ KPH on regular basis.
Who knows how to set up the batters.
Who knows how to use the conditions and his height.
He and #HasanMahmud - this pair will be the future for #Bangladesh 👏#PAKvBAN #Rawalpindi pic.twitter.com/jQ5SrqKLSx
— Syed Hussain (@imsyedhussain) September 2, 2024
মালদা জেলার অপর পারে অবস্থিত বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছেলে নাহিদ একুশ বছর বয়সে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করার জন্য কেবল চারটি উইকেটই নেননি, খেলায় ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতির চিহ্নও খেলায় কয়েকবার অতিক্রম করেছেন। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে টেস্ট অভিষেকে নাহিদ একই যা কাজ করেছিলেন, যা বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং সার্কিটের বড় নামগুলো অর্জন করতে পারেনি। ঐ খেলায় অবশ্য শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে ৩২৮ রানে পরাজিত করেছিল তবে নাহিদ ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন, যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ওভার প্রতি ছয়ের বেশি ছিল।
প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানের মতো বাংলাদেশি পেসারদের তালিকায় নাহিদ নতুন নাম। অবশ্য নাহিদ মাত্র তিন টেস্টেই ছাপ ফেলেছেন যেখানে তার সিনিয়র পেস সতীর্থরা টেস্ট ক্রিকেটে কখনই ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। এছাড়া জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) থেকে রাজশাহী বিভাগের হয়ে খেলা বাংলাদেশ দলের সিনিয়র দলে তার পথচলা। সিনিয়র দলে খেলার যোগ্যতা অর্জনের আগে তাকে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে পরিশ্রম করতে হয়নি। ১৮ বছর বয়সে ক্লেমন রাজশাহী ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে স্নাতক হওয়ার পর তার গতি নাহিদকে শিরোনামে নিয়ে আসে।