ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে মুখ খুলেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। এই বিষয়টিকে ঠিক ভাবে নিচ্ছে না বিসিসিআই (BCCI)। জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে ঋদ্ধির কাছ থেকে জবাব চাইবে বোর্ড। বোর্ড মনে করছে ঋদ্ধি যা করেছেন সেটা চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য লাগু থাকা প্রোটোকলের লঙ্ঘন। খেলোয়াড়রা যে বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন (সাহা গ্রুপ বি-তে বার্ষিক ৩ কোটি টাকা), সেই চুক্তির ৬.৩ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন বাংলার এই ক্রিকেটার। খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তির ওই ধারায় বলা হয়েছে, "খেলা, কর্মকর্তা, খেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা, প্রযুক্তির ব্যবহার, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় বা খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য কোনও বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবে না খেলোয়াড়রা, যা বিসিসিআই স্বার্থের জন্য ঠিক নয়।"
দল থেকে বাদ পড়ার পর ঋদ্ধি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) নেতৃত্বে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে অবসর নিয়ে ভাবতে বলেছিল। কারণ এখন থেকে নির্বাচনের জন্য তাঁকে বিবেচনা করা হবে না। এছাড়াও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও (Sourav Ganguly) নাকি তাঁকে নিশ্চয়তা দেন দলে রাখার বিষয়ে। আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: 'সৌরভ বলেছিলেন, যতদিন তিনি আছেন, আমি দলে থাকব', দল থেকে বাদ পড়ে বোমা ফাটালেন ঋদ্ধিমান সাহা
অর্থাৎ ঋদ্ধি সংবাদমাধ্যমে যে যে নির্দিষ্ট মন্তব্য করেছেন তা হল প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়, চেতন শর্মা ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কথোপকথন। আর এখানেই ঋদ্ধির প্রতি অসন্তুষ্ট বোর্ড। বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল (Arun Dhumal) পিটিআই-কে বলেছেন, "হ্যাঁ, এই সম্ভাবনা রয়েছে যে বিসিসিআই ঋদ্ধিমানকে জিজ্ঞাসা করতে পারে যে তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসাবে নির্বাচনের বিষয়ে কীভাবে কথা বলেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট তাঁকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কোচ দ্রাবিড়ের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের কথোপকথন কী কারণে প্রকাশ্যে এনেছেন ঋদ্ধি, বোর্ড তা জানতে চায়।" তাহলে বিসিসিআই কি আনুষ্ঠানিক ঋদ্ধিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে, নাকি মৌখিকভাবে প্রশ্ন করবে? জবাবে অরুণ বলেন, "এ বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা সবাই ব্যস্ত। তবে কয়েকদিন পর ফোন করা হবে।"