হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা মহামারির পর হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। এমনকি বর্তমানে তরুণদের মধ্যেও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু লিঙ্গভেদে হৃদরোগের লক্ষণগুলি হয় আলাদা, তাই লিঙ্গভেদে হৃদরোগের ঝুঁকিও হতে পারে কম-বেশি।
এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, নারীদের তুলনায় পুরুষদের কম বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, লিঙ্গভেদে হৃদরোগের সমস্যার ঝুঁকি অনেক কারণের ওপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ সমীক্ষা থেকে বোঝা যায় মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে, ধূমপান এবং মানসিক চাপের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া মহিলাদের মেনোপজের পর হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গবেষকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং ক্লান্তির মতো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয় মহিলাদের মধ্যে। সেখানে পুরুষদের মধ্যে ঘাম, বুকে এবং চোয়ালে ব্যথার মতো সমস্যা বেশি দেখা যায়। একটি গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় হার্ট অ্যাটাকের জন্য চিকিৎসা নেওয়ার আগে মহিলারা গড়ে প্রায় ৫৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে, সেখানে পুরুষরা অপেক্ষা করে গড়ে প্রায় ১৬ ঘন্টা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের সমস্যার কারণে নারী-পুরুষ উভয়েরই এই মারাত্মক রোগ থেকে নিরাপদ নয়। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের গোলযোগের কারণে যেকোনও বয়সের মানুষই হৃদরোগ এবং এর কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারে। জেনেটিক্সের পাশাপাশি রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের সমস্যার কারণে বর্তমানে যুব সমাজও হৃদরোগের শিকার হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের পর হৃদরোগের সমস্যা আরও বেড়েছে, যার কারণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। হৃদরোগের জন্য হওয়া ঝুঁকির কারণগুলি সকলের বোঝা এবং এটি প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ।