প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটি ইঞ্জিনিয়ারিস ডে হিসেবে পালন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর এম ভিসভেসভার্যর জন্মদিন উপলক্ষ্যে পালন করা হয় এই দিনটি। মোক্সাগুন্দাম ভিসভেসভার্য (M Visvesvaraya), সাধারণত তিনি পরিচিত 'স্যার এমভি' নামে, দেশের একজন অন্যতম নিখুঁত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তিনি। বেঙ্গালুরু থেকে ৫৫ কিমি ভিতরে চিক্কাবাল্লাপুরের এক তেলেগু পরিবারে ১৮৬১ সালে জন্ম ভিসভেসভার্যর, তাঁর মা-বাবা দু'জনেই সংস্কৃতের স্কলার। নিজের বাড়ির সামনের একটি স্কুল থেকেই প্রাইমারি বিভাগের পড়াশুনা সারলেও উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি বেঙ্গালুরু চলে আসেন। সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করলেও ভিসভেসভার্য পুনের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল নিয়ে পড়াশুনা করেন তিনি।
ভিসভেসভার্য কে? জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে
সেচ প্রকল্পের জন্য কারিগরি বিদ্যা, সেই বিষয়টির জাদুগর ছিলেন স্যার এমভি এবং বন্যা বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রেও নিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সেচ প্রকল্প এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের জন্য স্যার এমভি বিখ্যাত হয়ে উঠতে শুরু করেন। ১৯০৩ সালে পুনের কাছে খরকভাসলা জলাধারে 'অটোমেটিক ব্যারিয়ার ওয়াটার ফ্লডগেটস' তৈরিতে এমভি-র নকশা নজর কেড়েছিল সকলের। মাইসোরবাসীর কাছে ভিসভেসভার্য ছিলেন ভগবান, তৈরি করেছিলেন মাইসোর সাবান কারখানা, বেঙ্গালুরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ মাইসোর এবং মাইসোর আয়রন এবং স্টিল ওয়ার্কস। ১৯১৭ সালে তিনি তৈরি করেন একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যা আজ পরিচিত ভিসভেসভার্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে।
বেঙ্গালুরুর দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, টাটা আয়রন এবং স্টিল কোম্পানির গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় বাঁধ, কৃষ্ণরাজা সাগর বাঁধের নির্মাণকারী ছিলেন তিনি। ১৯৫৫ সালে ভিসভেসভার্যকে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়।