(Photo Credits: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১২ অক্টোবর: অফিস (Office) থেকে বাড়ি (Home) ফেরার পথে আজ বিকেলেই লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) বাজারটা সেরে নেবেন বলে ভেবেছিলেন! কাল ভোগের খিচুড়ির সঙ্গে ফুল কপির তরকারিটা পুরো জমে যাবে...আহা! এমনটা ভেবে যখন বাজারে পৌঁছলেন তখন দাম শুনে আপনার চক্ষু চড়ক গাছ। দোকানদার এক জোড়া ফুল কপির দাম চাইলেন আশি টাকা। শুনে আপনার মন বলে উঠল 'থাক দুটো লাগবে না একটাই দিন। যা দাম, তাতে সব কিছুই অল্প করে কিনতে হবে দেখছি।' আপনার কথা শুনে আবার দোকানদার বললেন, 'পাইকারি বাজার থেকে আমরা প্রতি পিস ৩৭ টাকা দরে কিনেছি।' লক্ষী পুজোর বাজার করতে গিয়ে এখন এমনটাই ফ্যাসাদে পড়তে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে (Bangali)। যাদের বাড়িতে প্রত্যেক বছর কোজাগরী লক্ষীর (Kojagari Laxmi) আরাধনা হয় তাদের লক্ষী লাভের আশায় এখন শাঁখের কড়াত।

ঠিক এমনটাই আজ সকালে জানবাজারে (Janbazar) বাজার করতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছোটার জোগাড় হয়েছিল, ধর্মতলার (Dharmatala) বাসিন্দা রীতা পাল চন্দ্রের। তাঁর কথায়, 'বাড়ি থেকে যা টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলাম, তাতে লিস্ট ফুলফিল হল না। আবার আসতে হবে।' জানালেন পুজোর অর্ধেক বাজার সেরে একরকম বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। পুজোর পরে এমনিতেই হাতে টান। তার উপরে বাজার মন্দা। তাই এবার লক্ষ্মীর আরাধনাতে, কাটছাঁট করতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই জিনিস কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে আগামীকাল, রবিবার কোজাগরী পুজোর আয়োজন করতে হচ্ছে বাঙালিকে। আরও পড়ুন: Durga Puja 2019 Wishes: মহানবমী উপলক্ষে আপনার পরিজন-বন্ধুদের পাঠিয়ে দিন এই বাংলা Facebook Greetings, WhatsApp Status, GIFs, HD Wallpapers এবং SMS শুভেচ্ছাগুলি

গত এক বছরে ধানের ছড়া থেকে গাছ কৌটো, সোনা মুগ থেকে খেলনা মিষ্টি, দাম বেড়েছে প্রতিটি জিনিসের। গত বছর যে ধানের ছড়া আড়াই থেকে তিন টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এ বার তার দাম পাঁচ টাকা করে। আর বাহারি ধানের চাদা, কোথাও চাইছে দশ টাকা, কোথাও পনেরো টাকা। নানা আকারের মিষ্টির কিলো নব্বই টাকা। লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের রেডিমেড আল্পনার পাতা বিকোচ্ছে পনেরো টাকা থেকে কুড়ি টাকা দরে। আপেল বিকচ্ছে ৬০ টাকা, ন্যাসপাতি ও শসা ৪০ টাকা, পানি ফল ৫০ টাকা প্রতি কিলো দরে। এক ডজন কাঁঠালি কলা ৩৫ টাকা, এক জোড়া নারকেল বিকোয় ষাট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর যে সোনা মুগের দাম ছিল ১৪০ টাকা, এ বছর পুজোর মুখে তার দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। প্রতি রকমের চালের দাম কিলোতে ৪ টাকা করে বেড়েছে । তেল, ডালডা, চিনি, গুড়, ময়দা, সুজি, সাদা তেল সব কিছুর দামই পুজোর আগে কেজিতে অন্তত ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। তাই মন্দার বাজারে এ বার অল্পতেই ধনদেবীর আরাধনা সারতে হচ্ছে বাঙালিকে।