Bhoot Chaturdashi (Photo Credit: Instagram)

কলকাতা: পাঁচ দিনের দীপবলি উৎসবের দ্বিতীয় দিন হলো কালী চৌদাস বা বাঙালির ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi)। ভূত অর্থাৎ অতীত এবং চতুর্দশী অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম দিন। মহালয়ায় যেমন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করা হয়, তেমনই এইদিন চৌদ্দপুরুষের উদ্দেশ্যে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই বিশেষ দিনটি ছোট দীপাবলি, যম চতুর্দশী, রূপ চতুর্দশী বা রূপ চৌদাস নামেও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে নরকাসুরকে বধ করেন। তাই এই দিনটিকে ‘নরক চতুর্দশী’ও বলে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে এই বছর অমাবস্যা লাগছে ১২ নভেম্বর, দুপুর ২/৪/৫১ থেকে, এবং থাকবে ১৩ নভেম্বর ২/২৮/৩০ মিনিট পর্যন্ত।

ভূত চতুর্দশী কেন পালন হয়-

হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয়, মৃত পূর্ব পুরুষরা এই কৃষ্ণ চতুর্দশীর দিনে মর্ত্যে আসেন। মনে করা হয়, এইদিনে সন্ধ্যে নামার পর প্রেতাত্মারা বাড়ির চারিদিকে ঘুড়ে বেড়ায়। তাঁদের অতৃপ্ত আত্মার শান্তি কামনাতে এদিন বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং  ১৪ শাক খওয়া হয়। এই ১৪ শাক হলো- গুলঞ্চ, শুষণী, হিলঞ্চ, জয়ন্তী, ওল, বেতো, সরষে, নিম, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, পলতা, ভাটপাতা, কেঁউ, এবং শৌলফ। আরও পড়ুন : Diwali 2023: আলোর উৎসবের আর কত দিন বাকি? জেনে নিন দীপাবলি, ভাই ফোঁটা ও ধনতেরাস কবে 

পুরাণ মতে, সত্যভামার পরামর্শে মহারখী শ্রীকৃষ্ণ নরককে বধ করেন। দ্বারকায় শুরু হয় খুশির উৎসব। দ্বারকাবাসীরা সারারাত প্রদীপ জ্বালিয়ে কৃষ্ণের মঙ্গলকামনা এবং জয়ের আনন্দ উপভোগ করেন। যার জন্য ভূত চতুর্দশী নরক চতুর্দশী নামেও খ্যাত। তবে আদতে এই বিষয়টি একেবারেই তা নয়। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসারে, এই সময় ঋতু পরিবর্তনের জন্য শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয় কারণ এই সময় শ্যামাপোকার উপদ্রব হয়, তা থেকে মুক্তি পেতেই জ্বালানো হয় প্রদীপ।