দেশে ক্রমাগত বাড়ছে তাপপ্রবাহ, অনেক জায়গার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও পেড়িয়ে গেছে। এই প্রচণ্ড গরমে বেড়ে গিয়েছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এবং গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের বেশি মানুষের। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার পর যখন শরীর ঠান্ডা হতে পারে না তখন হয় হিট স্ট্রোক। এর ফলে ক্ষতি হতে পারে বিভিন্ন অঙ্গের, এমনকি মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে। হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলি হল অতিরিক্ত জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, অচেতনতা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া এবং ত্বক লাল বা গরম হয়ে যাওয়া।
হিট স্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার পাশাপাশি বাটার মিল্ক, লেবু জল, নারকেল জলও পান করতে হবে। গরমে গাঢ় রঙের পোশাক তাপ শোষণ বেশি করে, তাই হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে। দীর্ঘক্ষণ সূর্যের সংস্পর্শে থাকার ফলে বৃদ্ধি পায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই প্রয়োজন ছাড়া রোদে না বেরোনোই ভালো। গরম থেকে আরাম পাওয়ার জন্য এবং শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঠান্ডা জলে স্নান করতে হবে। এছাড়া গ্রীষ্মে হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলি অনুভব হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ডাক্তার না আসা পর্যন্ত কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা করলে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলি অনুভব হওয়া ব্যক্তিকে শরীর ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করতে হবে। ঠান্ডা জলে স্নান, ঠান্ডা পানীয় পান করার সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে একটি শীতল এবং আরামদায়ক জায়গায় শুয়ে পা সামান্য উঁচু করে রাখতে হবে। ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে যাতে শরীর সহজে শ্বাস নিতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং এর ফলে চিকিৎসক আসা অবধি সুস্থ রাখতে পারে ওই ব্যক্তিকে।