প্রতি বছর ২০ আগস্ট পালন করা হয় বিশ্ব মশা দিবস। দেখতে ছোট হলেও মশা থেকে ছড়ায় বিভিন্ন রোগ। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো অনেক মশাবাহিত রোগ রয়েছে যা চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে বা অসতর্কতার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী মশা দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল এই মারাত্মক রোগের বিপদগুলি সম্পর্কে এবং মশা প্রতিরোধের ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা। ১৯৩০ সালে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন পালন করা শুরু করে বিশ্ব মশা দিবস।
১৮৯৭ সালের ২০ আগস্ট মহিলা অ্যানোফিলিস মশা আবিষ্কার করেছিলেন ব্রিটিশ ডাক্তার রোনাল্ড রস। বিপজ্জনক ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী এই মশা। এই মশার আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারও দেওয়া হয় ডাক্তার রোনাল্ড রসকে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পোকামাকড় মধ্যে একটি হল মশা। মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সঠিক চিকিৎসা না হলে এই রোগগুলি হতে পারে মারাত্মক। মশাবাহিত রোগের কারণে গোটা বিশ্বে প্রতি বছর মৃত্যু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মশার কামড়ে। বিশ্ব মশা দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল এই বিপজ্জনক রোগ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করার উপায় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মশার মতো বিপজ্জনক পোকামাকড়গুলো বাস্তুতন্ত্রে সুষ্ঠুভাবে চলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে, যা অনেক ধরণের বিপদের কারণ হতে পারে। তাই সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার পরিবর্তে বিজ্ঞানীরা তাদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থাগুলির উপর নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।