নতুন দিল্লি, ৩১ মার্চ: মারণ রোগ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে লকডাউনে গোটা দেশ। দেখতে দেখতে সপ্তাহ কেটে গেছে। তরতরিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যা এখন ৪২। এদিকে চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি দেশের মানুষ। কোনও যুদ্ধ নয়, নয় সন্ত্রাসের কালো ছায়া। খালি চোখে দেখতে না পাওয়া এক ভাইরাস হৃদকম্প বাড়িয়ে দিচ্ছে। চোখের নিমেষে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কখন যে কার পালা আগে থেকে বোঝা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বাঁচতে হলে একটা পথই অবলম্বন করতে হবে। মনকে শান্ত করতে হবে। গোটা পৃথিবী এই ভাইরাসের কাছে অসহায়। তাবড় তাবড় দেশে মৃত্যুমিছিল চলেছে। এই অবস্থায় মনকে শান্ত (Mental Illness) রাখা সত্যিই দুস্কর। সাইকিয়াট্রি সোসাইটির গবেষণা বলছে দেশের অন্তত ২০ শতাংশ মানুষ এই সময় মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
ইন্ডিয়া টুডেৃর সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সবমিলিয়ে ১৫-থেকে ২০ শতাংশ মানুষ এই এক সপ্তাহের মধ্যে মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এখন পাঁচজন ভারতীয়র মধ্যে একজন মানসিক রোগে ভুগছেন। এই লকডাউনের মধ্যে মানুষ চাকরি, সঞ্চয়, ব্যবসা, উপরাজ্ন হারানোর ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে। মানুষের মনে বিরাট প্রভাব ফেলেছে এই লকডাউন। তাঁরা এখন উত্তেজনা ও আতঙ্কে ভুগছেন। সামান্য খাবার দাবার ও ওষুধ নিয়ে ঘরবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। এখন সবে এই মানসিক সমস্যা শুরু হয়েছে। দিন যত যাবে ততই সমস্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Outbreak: হোম কোয়ারেন্টাইনে আত্মঘাতী ছত্তিশগড়ের যুবক, কর্মসূত্রে থাকতেন বেঙ্গালুরুতে
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটা অ্যাডভাইজরি প্রকাশ করেছে। তাতে রয়েছে লকডাউনে কি করা উচিত আর কি নয়। কি করে সামাজিক দূরত্ব বাড়িয়ে করোনাকে রুখবেন তারও উপায় রয়েছে এতে। যদি মনোগত সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শের নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নিয়মিত নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। সমস্ত নেতিবাচক বিষয় থেকে মন সরিয়ে গান শুনুন। বই পড়ুন, টিভিতে বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান দেখুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলুন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। রেগে গেলে অন্য বিষয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।