বর্তমানে ভারতের প্রায় প্রতিটি এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে গরম থেকে স্বস্তি পাওয়া গেলেও এই সময় বেড়েছে বিভিন্ন ভাইরাসের উৎপাত, এই কারণে বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। বৃষ্টির কারণে দেখা যায় মরসুমি অ্যালার্জিও। এছাড়া বর্ষার দিনে হাঁচি ও চোখে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা কিছু মানুষের জন্য খুব সাধারণ হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হতে পারে গুরুতর। বর্ষাকালীন অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
কোনও ধরণের সংক্রমণ এবং অ্যালার্জি এড়াতে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং অ্যালার্জি ও সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে স্যামন, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোট। বর্ষাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করা খুবই ভালো, যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করবে, এর জন্য খেতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। তাই বর্ষাকালীন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে কমলা, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, কিউই এবং স্ট্রবেরি।
অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে প্রোবায়োটিক। দইয়ের মতো খাবারে প্রোবায়োটিক থাকায় অ্যালার্জিতে সহায়তা করে। এছাড়া অ্যালার্জি এড়াতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। তাই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বাদাম, পালং শাক, ডার্ক চকোলেট এবং অ্যাভোকাডো। এই ধরনের খাবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ইমিউন কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে। এছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লেমেশন সমৃদ্ধ খাবার অ্যালার্জি থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে হলুদ, আদা, সবুজ শাক, বেরি এবং অলিভ অয়েল। এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।