Credit: Pixabay

পিরিয়ডের অসহ্য ব্যথা হচ্ছে? পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ এই ব্যথার প্রতিকার লুকিয়ে রয়েছে রান্নাঘরে। বর্তমান যুগেও এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা পিরিয়ডের বিষয়ে আলোচনা এড়িয়ে চলেন। তবে পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা প্রয়োজনীয় বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পিরিয়ড চলাকালীন জরায়ু থেকে রক্ত এবং টিস্যু যোনির মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রতি মাসে চলা এই প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ মহিলাকে তীব্র ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়।

পিরিয়ড চলাকালীন আচমকা মেজাজ পরিবর্তন হওয়া, পেটে ব্যথা, পিঠের নিচের অংশে ব্যথা, উরুতে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাম, মাথা ঘোরা এবং মাথাব্যথার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন নারীরা। এর ফলে দুর্বলতা অনুভব করেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে সকলের মনেই প্রশ্ন জাগে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কি আদৌ আছে? পুষ্টিবিদদের মতে, পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় লুকিয়ে রয়েছে সবার রান্নাঘরে। এই সময় সাবুদানার কাঞ্জি খুবই উপকারী। কাঞ্জি তৈরি করার জন্য প্রথমে সাবুকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা ভিজিয়ে তারপর সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর তাতে জিরা, লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পুষ্টিবিদদের মতে, পিরিয়ডের আগে যতটা সম্ভব সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। এই সময় ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা উচিত। খাদ্যতালিকায় উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। শরীরের দুর্বলতা এড়িয়ে চলার জন্য ছাতুর পরাটা, দুধ, দই, পনির, ডাল এই ধরনের খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। নন-ভেজ হলে এই সময় খেতে হবে ডিম, মুরগির মাংস ও মাছ। এছাড়া ঘি, ফ্ল্যাক্সসিড, বাদাম, আখরোট এবং চিয়া বীজ খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয়। খাবারের বিশুদ্ধতার দিকে নজর দিতে হবে এবং প্রতি ৩-৪ ঘন্টা পর পর স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস তৈরি করলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।