বিশ্বে প্রথমবার অরোপৌচ ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। মশার কামড়ে ছড়ায় অরোপৌচ ভাইরাস। বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের বাহিয়ায় অরোপৌচ ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয় দুই মহিলার। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, উভয় মহিলার বয়স ৩০ বছরের কম ছিল। অরোপৌচ ভাইরাসের লক্ষণগুলো হয় ডেঙ্গুর মতোই। দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। জানা গিয়েছে ব্রাজিল, বলিভিয়া, পেরু, কিউবা এবং কলম্বিয়া এই ৫টি দেশে এই বছর পর্যন্ত অরোপৌচ ভাইরাসের ৭৭০০ টিরও বেশি কেস পাওয়া গেছে।

অরোপৌচ ভাইরাসের খোঁজ প্রথম পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এবং মশা ও মাছির কামড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। তবে এই ভাইরাস সরাসরি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না অর্থাৎ এই রোগ সংক্রামক নয়। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন এর মতে, সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলি তদন্ত করে ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে গর্ভবতী মহিলা থেকে অনাগত শিশুদের মধ্যে অরোপৌচ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, ২০২৪ সালে শুধু ব্রাজিলেই ৭২৩৬ টি কেস রিপোর্ট করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অরোপৌচ ভাইরাস থেকে বাঁচার একটি ভালো উপায় হল আক্রান্ত স্থানের মশার কামড় এড়িয়ে চলা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্ত স্থানে থাকলে পা এবং হাত ভালো করে ঢেকে রাখতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে মশারি। এছাড়া আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, অরোপৌচ ভাইরাসের লক্ষণগুলো ডেঙ্গুর মতোই। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, বমি বমি ভাব, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতার মতো উপসর্গ। এই ভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন নেই। ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার তুলনায়, কম অধ্যয়ন করা হয়েছে অরোপৌচ ভাইরাসটি। একটি পর্যালোচনা অনুযায়ী, এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এক কথায় বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে এই ভাইরাস।