Representational Image Credit: Pixabay

ভোপাল, ৬ মার্চ: মোবাইল দেখতে নিষেধ করায় বাবা এবং মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের আক্রমণ করল এক যুবক। ২০ বছর বয়সী নিট পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। মা এবং বাবার উপর হামলার পর, বর্তমানে জেলের অন্দরে দিন কাটছে ওই পরীক্ষার্থীর। রিপোর্টে প্রকাশ, নিট পরীক্ষার্থী ছেলেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল দেখতে না করেছিলেন বাবা-মা। যার জেরে ওই যুবক মা এবং বাবার উপর হামলা চালায়। যার জেরে আহত অবস্থায় তার মাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসকরা নিয়ে যান। তবে অস্ত্রোপচার করলেও চিকিৎসকরা ওই পরীক্ষার্থীর মাকে বাঁচাতে পারেননি। অন্যদিকে ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি। মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলায় এমনই এক ঘটনার জেরে তোলপাড় শুরু হয়।

সত্যম কাটরে নামে বছর ২০-র ওই যুবককে বুধবার গ্রেফতার করা হয় যখন তাঁর মায়ের অন্তিম সংসার করেন পরিবারের সদস্যরা।

গত ৩  মার্চ সত্যম কাটরে তাঁর শিক্ষক বাবা-মা কিশোর এবং পবিত্রা কাটরের উপর হামলা চালায়। সত্যমের বাবা-মা দুজনই সরকারি স্কুলের শিক্ষক। দীর্ঘক্ষণ ধরে সত্যমের মোবাইল দেখায় আপত্তি জানান কিশোর এবং পবিত্রা। বারবার নিষেধের জেরে সত্যম বাবা, মায়ের উপর আক্রমণ করে। বাবা, মা দুজনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে সত্যম ১০০ নম্বর ডায়েল করে পুলিশকে খবর দেয়। সেই সঙ্গে পরিবারের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে প্রত্যেককে বাবা, মায়ের অসুস্থতার কথা জানায়। পরিবারের লোকজন হাজির হয়ে কিশোর এবং পবিত্রাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পবিত্রাকে চিকিৎসকরা বাঁচাতে পারেননি। কিশোর কাটরে বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছেন বলে খবর।

পুলিশের কথায়, সত্যম বর্তমানে কোটা থেকে নিট পরীক্ষার তোড়জোড় করছে। নিট পরীক্ষায় যাতে ভাল ফল হয়, তার জন্য সত্যমকে মোবাইল ফোনের নেশা ছাড়ার কথা বারবার বলতে শুরু করেন তার বাবা-মা। তা সত্ত্বেও সত্যমের ফোনের নেশা কাটেনি। সোমবার রাতে সত্যমের মোবাইল দেখা নিয়ে বাবা,মা আপত্তি জানালে, দুর্ঘটনা ঘটে যায়।সত্যমের গ্রেফতারির পর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত থেকেই বর্তমানে জেলে রয়েছে বছর ২০-র সত্যম।