গান শোনা বা ফোনে কথা বলার জন্য বেশিরভাগ মানুষই ব্যবহার করে হেডফোন বা ইয়ারফোন, যা খুবই বিপজ্জনক। দীর্ঘদিন ধরে হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে কানের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। পরিবর্তিত জীবনধারার সঙ্গে হেডফোন, ইয়ারফোন এবং ইয়ারবাডের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মানুষ। গাড়ি চালানোর সময় হোক বা কাজ করার সময়, দীর্ঘক্ষণ ধরে কানে ইয়ারফোন রাখে মানুষ, যা স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ভবিষ্যতে বধির করে দিতে পারে এই শখ।
WHO-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি যুবক যুবতী হয়ে যেতে পারে বধির। ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এর প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে। এই ক্ষতির কারণ হবে হেডফোন ও ইয়ারফোন। WHO-এর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে বর্তমানে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী প্রায় ৫০ কোটি মানুষের বিভিন্ন কারণে বধিরতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বধিরতার কারণ হল খুব উচ্চ ভলিউমে ইয়ারফোন, ইয়ারবাড বা হেডফোনে একটানা ব্যবহার করা। যেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ লোক দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চস্বরে গান শোনেন, সিনেমা দেখেন বা পড়াশোনার জন্য অনলাইন ক্লাস করেন, যা বধিরতার বড় কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত ডিভাইসে ভলিউম লেভেল হয় ৭৫ ডেসিবেল থেকে ১৩৬ ডেসিবেল পর্যন্ত। তবে বিভিন্ন দেশে এর মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারীদের এই ডিভাইসগুলির ভলিউম ৭৫ ডেসিবেল থেকে ১০৫ ডেসিবেলের মধ্যে রাখা উচিত এবং ব্যবহার করা উচিত সীমিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ভলিউম হল ২০ ডেসিবেল থেকে ৩০ ডেসিবেল। এর চেয়ে বেশি ভলিউম কানের সংবেদী কোষের ক্ষতি করে। চিকিৎসকদের মতে, হেডফোন বা ইয়ারফোনের মতো ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে হওয়া বধিরতা কখনোই সারানো যায় না, এর চিকিৎসাও সম্ভব নয়। তাই এই সমস্যা এড়ানোর একমাত্র উপায় হল এই ডিভাইসগুলি সাবধানে ব্যবহার করা।