Credit: Wikimedia Commons

শীতের মরসুমে শরীরে ব্যথা এবং ঠান্ডাজনিত অনেক রোগ দেখতে পাওয়া যায়। মিষ্টি গুড় খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। শীতের মরসুমে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে গুড়। গুড়ের অন্যতম প্রধান উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এই দেশে গুড়কে "ঔষধি চিনি" বলা হয়। প্রায় ৩ হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধে মিষ্টি যোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে গুড়, যা গলা এবং ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় উপকারী বলে বিবেচিত হয়।

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে গুড় খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন গুড় খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। ১০- ২০ গ্রাম গুড় অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। গুড় পুষ্টিগুণে ভরপুর। জিঙ্কের পাশাপাশি গুড়ে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়ামও পাওয়া যায়। গুড়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে, তাই শীতকালে কাশি এবং সর্দি হলে গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গুড় দিয়ে তৈরি চা পান করলে সতেজতা পাওয়া যায় এবং অলসতা দূর হয়।

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গুড় ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গুড়ের অ্যান্টি-অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি ফুসফুসে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলিকে বাড়তে দেয় না। ফুসফুসে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলির কারণে ফুসফুসে অসুবিধা হয়। নিয়মিত গুড় খেলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুড় শরীরের ক্ষতিকারক বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। আয়ুর্বেদে রক্ত পরিশোধন এবং হজমের উন্নতিতে গুড় ব্যবহার করা হয়।