বর্তমান যুব সমাজ ক্রমাগত নিজেদের শরীর চর্চার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। ফলে ১৮ পার করতেই (কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১৮-র কমে) জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করেন যুবক, যুবতীরা। যুব সমাজের যে অংশ জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করতে অভ্যস্ত, তাঁদের অনেকেই এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত নন। জিমে গিয়ে শরীর চর্চার প্রভাবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে কতটা প্রভাব পড়ে, সে বিষয়ে বেশিরভাগ একেবারেই কিছু জানেন না। সম্প্রতি একটি রিসার্চে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
রিপ্রোডাক্টিভ বায়োমেডিসিনের অনলাইনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যাঁরা জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করেন, তেমন ১৫২ জনের উপর পরীক্ষানীরিক্ষা চালানো হয়। ১৫২ জনের উপর যে পরীক্ষা চালানো হয়, তার ফলাফলে দেখা মেলে, জিমে গিয়ে শরীর চর্চার পাশাপাশি যাঁরা প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে অভ্যস্ত, তাঁদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।
জিমে গিয়ে যাঁরা শরীর চর্চা করেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত। জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করলে, তার প্রভাব কতটা পড়তে পারে, সে বিষয়ে মাত্র ১৪ শতাংশ এ বিষয়ে অবগত বলে ওই রিসার্চ বা সমীক্ষায় উঠে আসে।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মুরিগ গ্যালাঘের এবং সংশ্লিষ্ট গবেষণার প্রধান লেখক জানান, সুস্থ থাকা এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অত্যন্ত ভাল অভ্যেস৷ জিমে গিয়ে যাঁরা শরীর চর্চা করেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষরা প্রোটিন সম্পূরকগুলির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগে থাকেন অনেক সময়৷ ফলে জিমে গিয়ে শরীর চর্চার বিষয়ে তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই অবগত থাকেন না বলে জানান গবেষকরা ৷