বর্তমান যুগে মানুষ তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে শিকার হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার, তাদের মধ্যে অনেকেই শিকার হন মানসিক সমস্যার। বিশ্বজুড়ে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতা এক ধরনের গুরুতর মানসিক ব্যাধি, যার সঠিক চিকিৎসা না হলে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। অনেকেই মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

আত্মহত্যা একটি গুরুতর বিষয়, যা সমগ্র বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে, এই গুরুতর সমস্যাটির প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। আত্মহত্যা প্রতিরোধের ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত ও সচেতন করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। বর্তমানে সারা বিশ্বে আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আত্মহত্যা একটি বড় সমস্যা, যা সমাজ থেকে দূর করার জন্য বহুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক ফেডারেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৩ সালে পালন করা শুরু করে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর দিনটিতে সংগঠন, সরকার ও সাধারণ জনগণকে আত্মহত্যা সম্পর্কে সচেতন ও প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্পর্কে এবং আত্মহত্যা ছাড়াও জীবনে আরও ভালো বিকল্প আছে তা সম্বন্ধে জনগণকে বোঝানো। এছাড়াও এই দিনটির গুরুত্ব হল এমন একটি সমাজকে গড়ে তোলা যেখানে মানুষ একে অপরের কাছে সাহায্য চাইতে দ্বিধাবোধ করবে না।