দেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতে পালন করা হয় শহীদ দিবস। বছরে দুবার শহীদ দিবস পালন করা হয় ভারতে, প্রথমবার ৩০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয়বার ২৩ মার্চ। এই দুটি দিনেরই ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ৩০ জানুয়ারি এবং ২৩ মার্চ - এই দুই শহীদ দিবসে বীর সন্তানদের স্মরণ করার পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির জন্য যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদেরও স্মরণ করা হয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কেন বছরে দুবার পালন করা হয় শহীদ দিবস।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি হত্যা করা হয় মহাত্মা গান্ধীকে। নয়াদিল্লির বিড়লা ভবনে নাথুরাম গডসে গুলি করে হত্যা করে তাঁকে। সত্য, অহিংসা এবং সত্যাগ্রহের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন গান্ধীজি। শহীদ দিবস হল দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং বিপ্লবীদের স্মরণ করার একটি উপলক্ষ। এই দিনে রাজঘাটের গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশজুড়ে ২ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধী এবং অন্যান্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় এই দিনে।
বছরে দ্বিতীয়বার শহীদ দিবস পালন করা হয় হয় ২৩ মার্চ। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভগত সিং, রাজগুরু এবং সুখদেবকে লাহোর জেলে ফাঁসি দেয় ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং ভারতকে স্বাধীন করার জন্য জীবন দিয়েছিলেন এই তিন বিপ্লবী। লালা লাজপত রায়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ব্রিটিশ অফিসার স্যান্ডার্সকে গুলি করেছিলেন ভগত সিং। দিল্লির কেন্দ্রীয় পরিষদে বোমা নিক্ষেপ করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ভগত সিং এবং তার সহযোদ্ধারা। ফাঁসির সময় ভগৎ সিং-এর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর, কিন্তু তাঁর সাহস এবং ত্যাগ এখনও প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে জীবিত।