পিতামাতার পুজো করার দিনটি পরিচিত মাত্রু পিত্রু পূজন দিবস' (Matru Pitru Poojan Divas) নামে। ২০০৭ সালে সন্ত শ্রী আশারামজি বাপু ভালোবাসা দিবসের বিকল্প হিসেবে শুরু করেছিলেন এই দিনটি। পিতামাতার পুজো দিবস (Parents Worship Day) পালিত হয় প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই দিনটি বাবা-মাকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান, ভালবাসা এবং যত্ন প্রদানের জন্য উৎসর্গ করা হয়। পিতামাতার প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা এবং সত্যিকারের ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের মাধ্যমে মানুষের হৃদয় এবং বাড়িতে একটি সামাজিক জাগরণ আনতে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। পিতামাতার পুজো দিবসের মাধ্যমে পিতামাতা এবং সন্তানের মধ্যে বন্ধন আরও শক্ত হয়ে ওঠে।

ভ্যালেন্টাইনস ডে হল সেই দিন যেদিন আমরা আমাদের প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ, শ্রদ্ধাকে একটু আলাদা ভাবে পালন করি। এদিন সকলেই তার প্রিয় মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে সেই ব্যক্তি তার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে পিতামাতা নয় কেন? নিঃস্বার্থ এবং পবিত্র ভালবাসার সম্পর্কের কথা উঠলে তো পিতামাতা ও সন্তানের সম্পর্ককে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। একজন মানুষের সত্যিকারের ভালোবাসা এবং সত্যিকারের ভ্যালেন্টাইন হওয়া উচিত তার পিতামাতা। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে-তেই পালন করা হয় পিতামাতা পুজো দিবস।

শিশুদের হৃদয় ও আত্মায় পিতামাতার সেবা করার ইতিবাচক মনোভাবকে অনুপ্রাণিত করা হয় পিতামাতার পুজো দিবসে। গণেশ দ্বারা সম্পাদিত ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর পুজো থেকে এই উৎসবটি পালন করার অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়। পিতামাতার পুজো দিবসের মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন হয় আরও শক্তিশালী। এদিন পিতামাতাকে আরামদায়ক স্থানে বসিয়ে তাদের কপালে তিলক লাগানো হয়। এরপর শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার সঙ্গে তাঁদের প্রনাম করা হয়। পিতামাতার পুজো করে তাঁদের দীর্ঘ এবং সুখী জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয় এদিন।