
বিখ্যাত পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব মালালা দিবস। জাতিসংঘের ঘোষণার পর প্রতি বছর ১২ জুলাই পালন করা হয় এই দিনটি। নারী শিক্ষার জন্য কাজ করা নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইকে অভিবাদন জানাতে প্রতি বছর পালন করা হয় মালালা দিবস। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২৬ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই কী করেছেন? এছাড়াও জেনে নেওয়া যাক মালালা দিবসের বিশেষত্ব এবং কেন পালন করা শুরু হয় মালালা দিবস।
মালালা ইউসুফজাই একজন পাকিস্তানি শিক্ষা আন্দোলনকর্মী। সর্বকনিষ্ঠ নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী তিনি। শিক্ষা এবং নারী অধিকারের ওপর আন্দোলনের জন্য পরিচিত মালালা। এই কাজের জন্য পাকিস্তানে তালেবান বন্দুকধারীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তার এক বছর পর ২০১৩ সালে পালন করা শুরু হয় বিশ্ব মালালা দিবস। ২০১৩ সালের ১২ জুলাই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেন মালালা ইউসুফজাই।
মালালা ইউসুফজাই প্রকাশ্যে মেয়েদের শিক্ষার জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন। এই কারণে ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তালেবান বন্দুকধারীদের দ্বারা গুলি করা হয় তাকে। গুলিবিদ্ধ হওয়ায় গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও শীঘ্রই সুস্থ হয়ে জনগণের জন্য কাজ করতে ফিরে আসেন মালালা। তিনি 'মালালা ফান্ড' প্রতিষ্ঠা করেছেন, এটি একটি অলাভজনক সংস্থা যা অল্পবয়সী মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে সাহায্য করে। এই সব কারণে এবং নারী ও শিশুদের অধিকারকে সম্মান জানাতে মালালার জন্মদিনে বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় মালালা দিবস।