বোম্বে পুনর্গঠন আইন ১৯৬০ এর সময় দুটি রাজ্যে বিভক্ত হয় মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট। এরপর বোম্বে তথা বর্তমান মুম্বাই নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে অনেক বিরোধিতার পর মহারাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করা হয় মুম্বাইকে। সেই থেকে প্রতি বছর ১ মে পালন করা হয় মহারাষ্ট্র দিবস। এই দিনটি মহারাষ্ট্রের প্রতিটি বাসিন্দার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন মহারাষ্ট্রের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাণবন্ত ইতিহাস এবং রাজ্যের বিস্ময়কর কৃতিত্ব তুলে ধরে গর্বিত বোধ করা হয়।
রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৫৬ প্রতিটি ভারতীয় রাজ্যকে চিহ্নিত করা হয় ভাষার ভিত্তিতে। তৎকালীন বোম্বেতে মারাঠি, গুজরাটি, কাচ্চি এবং কোঙ্কনি সহ আরও বিভিন্ন ভাষার মানুষের বাস ছিল। সেই সময় ইউনাইটেড মহারাষ্ট্র কমিটি পৃথক রাজ্যের দাবিতে বোম্বেকে দুটি ভাগে ভাগ করে। একটি মারাঠি ও কোঙ্কনি ভাষার ভিত্তিতে এবং অন্যটি ছিল গুজরাটি ও কাচ্চি ভাষার ভিত্তিতে। এরপর ইউনাইটেড মহারাষ্ট্র কমিটির এই আন্দোলন ভয়ানক রূপ নেয়, এই আন্দোলনে প্রাণ হারায় বহু মানুষ এবং আহত হয় শত শত আন্দোলনকারী।
বোম্বে পুনর্গঠন আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবশেষে শান্ত হয় আন্দোলন। এরপর থেকেই পালন করা হয় মহারাষ্ট্র দিবস। এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্যের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি প্রচার করা। এই দিনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মহারাষ্ট্রে। এই দিনটি মুম্বাই এবং নাগপুর সহ সমগ্র মহারাষ্ট্রে মহা আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়। এদিন মারাঠি মহিলারা মারাঠি স্টাইলের নওভারি শাড়ি পরে মোটরসাইকেলে শোভাযাত্রা করে।