সাধক কবীরদাস, যিনি বহু দোহা এবং তাঁর লেখার মাধ্যমে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পালন করা হয় কবীরদাস জয়ন্তী। কবীরদাস জি একজন কবি হওয়ার পাশাপাশি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। ভক্তি আন্দোলনেও কবীরদাস জির লেখার ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় পালন করা হয় কবীরদাস জয়ন্তী। চলুন জেনে নেওয়া যাক কবীরদাস জয়ন্তীর গুরুত্ব এবং কবীরদাস জির জীবনের কিছু জানা অজানা তথ্য।

২০২৪ সালে কবীর দাস জয়ন্তী পালন করা হবে ২২ জুন, এই বছর ৬৪৭ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে কবীর দাস জির। জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ২১ জুন সকাল ০৭:৩১ মিনিটে এবং শেষ হবে ২২ জুন সকাল ০৬:৩৭ মিনিটে। কবীর রচনার প্রধান অংশ পঞ্চম শিখ গুরু অর্জন দেব সংগ্রহ করে শিখ ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কবীর রচনার পরিচিত সাধারণত তার দুই লাইনের দোহা, যেগুলো কবীর দোহা নামে পরিচিত।

মনে করা হয় রামানন্দ গুরুর আশীর্বাদে এক বিধবা ব্রাহ্মণীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন কবীর দাস জী। কবীরদাস জি গোটা দেশের ঋষি-সাধুদের সান্নিধ্যে থেকে নিজের জীবন কাটিয়েছেন। কবীর দাস ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও ধর্ম ও উপাসনার নামে কুসংস্কার ছড়ানোর বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। লেখার মাধ্যমে জীবনে সুখী ও সফল থাকার সূত্র দিয়েছিলেন কবীরদাস জি। তাঁর এই সূত্রগুলো জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।