বিহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব ছট পুজো, তবে আরেকটি জনপ্রিয় উৎসব হল 'জুর সিতাল'। বিহারে খুব আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় এই উৎসব। এই উৎসবের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে মিথিলাবাসিরা। তারা নববর্ষ হিসেবে পালন করে এই দিনটিকে এবং এর একদিন আগে পালন করা হয় সাতুয়ান উৎসব। প্রতিবেশী দেশ নেপালও এই দিনে পালন করে নববর্ষ, যা জুর সিতাল নামে পরিচিত। ২০২৪ সালে মৈথিলি নববর্ষ পালিত হবে ১৪ এপ্রিল। চলুন জেনে নেওয়া যাক জুর সিতাল সম্পর্কে বিস্তারিত‌।

মিথিলায় এই সময়কালে সত্তু ও ছোলার উৎপাদন হয়, তাই এই উৎসবের সঙ্গে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে সাতুয়া উৎসবের। গ্রীষ্মকালে যেখানে অন্যান্য খাবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, সেই সময়ে সাতুয়া থেকে তৈরি খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যায়। এটি এড়াতে মিথিলা অঞ্চলের মানুষ গ্রীষ্মকালে বেশি করে সাট্টু ও বেসন ব্যবহার করে। এই সাতুয়ান উৎসবের পরের দিন জুর সিতাল উৎসবে জ্বালানো হয় না চুলা। এই দিনে মানুষ বাসি খাবার খেয়ে পালন করে সাতুয়ান উৎসব। এর পরের দিন জুর সিতাল উৎসব উপলক্ষে আয়োজন করা হয় কাদার জল ছোড়ার একটি আনন্দ অনুষ্ঠানের ।

সূর্য যখন মেষ রাশিতে প্রবেশ করে, তখন পালিত হয় জুর সিতাল উৎসব বা মৈথিলী নববর্ষ। এই উৎসব ভারত এবং নেপালের মিথিলায় অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। সাধারণত এই দিনে বাড়িতে চুলা না জ্বালিয়ে চুলা পরিষ্কার করে দেবী অন্নপূর্ণাকে 'চুলা মহারাণী' রূপে পুজো করা হয়। তাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সময় মানুষ শীতলতা কামনা করে পালন করে জুর সিতাল উৎসব। মিথিলাবাসিরা এই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি সংলগ্ন গাছে জল প্রদান করে, যাতে গাছ শীতলতা প্রদান করে।