প্রতি বছর আষাঢ় পূর্ণিমার দিন গুরুর সম্মানে পালন করা হয় গুরু পূর্ণিমা। এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহর্ষি বেদ ব্যাস, তাই এই পূর্ণিমাকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। গুরু পূর্ণিমার দিন ভক্তরা গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁর কাছে আশীর্বাদ নেয়। মান্যতা রয়েছে যে এই দিনে গুরুর পুজো করলে জীবনে কোনও ঝামেলা পোহাতে হয় না।
২০২৪ সালে গুরু পূর্ণিমা পালন করা হবে ২১ জুলাই। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ২০ জুলাই সন্ধ্যা ০৫:৫৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ২১ জুলাই বিকাল ০৩:৪৬ মিনিটে। পুজোর শুভ সময় শুরু হবে সকাল ০৭:১৯ মিনিটে এবং শেষ হবে দুপুর ১২:২৭ মিনিটে। গুরুর হাত ধরেই জ্ঞান অর্জন করে ছাত্র ছাত্রীরা। গুরুর কাছ থেকে মন্ত্র প্রাপ্তির জন্যও গুরু পূর্ণিমা দিনটিকে খুব ভালো বলে মনে করা হয়। এই দিনে শিক্ষকদের সেবা করলে পুণ্য লাভ হয়।
নিজের মধ্যে সৃষ্টির উৎস অনুভব করানোর জন্য অন্বেষণকারীর অজ্ঞতা দূর করেন গুরু। গ্রীষ্মের অয়নকালের পর আষাঢ় মাসে অর্থাৎ জুলাই বা আগস্ট মাসের প্রথম পূর্ণিমার দিনকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা। মান্যতা রয়েছে যে এই শুভ দিনে, আদিযোগী বা প্রথম যোগী ভগবান শিব, প্রথমবার তাঁর সাত শিষ্য, সপ্তর্ষিদের প্রদান করেছিলেন যোগের বিজ্ঞান। এছাড়া বৈদিক জ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি বেদ ব্যাস জি গুরু পূর্ণিমার দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বৈদিক জ্ঞানকে এক সুতোয় একত্রিত করেছিলেন গুরু পূর্ণিমার দিন।