বুধবার দুর্গাপুজোর অষ্টমী, অষ্টম দিনে এই নবরাত্রিতে পুজো হয় দেবী মহা গৌরীর (Maa Mahagauri Puja)। ব্রহ্মা দুর্গার এই নয়টি রূপের নামকরণ করেছিলেন। নয়টি নামের নয়টি বৈচিত্র্যময় রূপভেদ রয়েছে। এই নয়টি রূপের নাম হল- শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মান্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী,সিদ্ধিদাত্রী। আসুন দেখে নেওয়া যাক মহাগৌরী পুজোর মাহাত্ম্য, আচার ও রীতি।
অষ্টমীতে দেবী মহাগৌরীর পুজো করা হয়। তিনি নবদুর্গার অন্যতম ও দেবী দুর্গার অষ্টম শক্তি। সাদা পোশাক পরিহিতা, চার হাত বিশিষ্টা দেবীর বাহন ষাঁড়। মা শান্ত প্রকৃতির। এই দেবীর আট বছর বয়স বলে মানা হয়। হিমায়লকন্যা ছিলেন গৌর বর্ণা। শিবের জন্য কঠোর তপস্যা করে রৌদ্রে তিনি কালো হয়ে যান । মহাদেব দেবী পার্বতীর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে যখন গঙ্গাজল দিয়ে তাকে স্নান করান, তখন তিনি হয়ে ওঠেন গৌরবর্ণা। তার এই রূপের নাম হয় মহাগৌরী।
পুজোর রীতি: হিন্দুদের বিশ্বাস, নবরাত্রির অষ্টম রাতে তাঁর পুজো করলে সব পাপ ধুয়ে যায়। পুজো করলে সর্বশক্তিমান হয়, গৃহ কলহ নাশ হয় এবং ভক্ত সর্বপ্রকার পবিত্র ও অক্ষয় পুণ্যের অধিকারি হয়। এই দিনে ভক্তরা ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করেন। এটি হলুদ পোশাক পরে মহাগৌরীর উপাসনা করা হয়। তারপরে, দেবীর সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করুন। এর পরে সাদা বা হলুদ ফুল অর্পণ করুন এবং মন্ত্র জপ করুন। অল্প বয়সী মেয়েদের আপনার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান এবং তাঁদের খাওয়ান। মা দুর্গার অষ্টম রূপ দেবী মহাগৌরীর উপাসনা করলে গ্রহগত ত্রুটি সেরে যায়। ব্যবসায় বৃদ্ধি, বিবাহ জীবন উন্নতি হবে। সুখ, সমৃদ্ধি এবং সম্পদে ভরে যাবে। অভিনয়, গান, নাচ ইত্যাদির ক্ষেত্রে আপনি সাফল্য পাবেন। ত্বকজনিত রোগের হ্রাস হবে।
পুজোর ভোগ: মায়ের পুজোয় অন্যান্য ভোগের পাশাপাশি নারকেল দেওয়া হয়। এটাই দেবী মহাগৌরীর প্রধান ভোগ।