দরজায় কড়া নাড়ছে পুজো। পাড়ায় পাড়ায় সেজে উঠছে মন্ডপ। কোথাও থিম পুজোর ভিড় তো কোথাও সনাতনী রূপেই মায়ের আরাধনা। তবে সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় এখনও রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ ঢাকের বাদ্যি বেজে ওঠার আগে এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বনেদী বাড়ির (Bonedi Barir Pujo) পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে এসেছে লেটেস্টলি বাংলা (LatestLY Bangla).
পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি
একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিটি নারী ঋতুমতী হন। প্রতি মাসেই একবার করে ঘুরেফিরে আসে ঋতুচক্রের ৪টি দিন। ওই ৪টি দিন নিয়ে আসে নারীত্বের পূর্ণতা। ঋতুমতী কথাটি অত্যন্ত অর্থবহ। এই কথাটির মধ্যেই রয়েছে নারীশরীরে নতুন একটি প্রাণের সঞ্চার হওয়ার খবর, মেলে তার আগমনবার্তা। ঋতুচক্রের মধ্য দিয়েই নারী মাতৃত্বের স্বাদ পান। নবজীবনের বার্তা বয়ে আনা ঋতুচক্র স্ফূর্তি আনে নারীর মনে।অথচ এই ঋতুচক্র নিয়েই আমাদের মধ্যে নানান রকম সামাজিক কুসংস্কার কাজ করে। মাসের এই কটা দিন নারী যেন মুখ লুকিয়ে থাকে। কোনো রকম ধর্মীয় কাজ, সামাজিক কাজ বা পারিবারিক কাজে তাকে যোগ দিতে দেওয়া হয় না। অথচ এটি না হলে নারী মা হতে পারেন না। এটি চলাকালীন মেয়েরা কেন পুজো করতে পারবে না? কেন রান্না ঘরে ঢুকতে পারবে না? কেন এই চার দিন তাকে অস্পৃশ্য করে রাখা হবে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ও নারীদের ঋতুচক্র বা পিরিয়ড নিয়ে প্রচলিত ধ্যান ধারণা ও ট্যাবুর বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণা করেছে উত্তরের পাথুরিয়াঘাটা পাঁচের পল্লীর পুজো। ৮৪ তম বর্ষে তাঁদের থিম ‘ঋতুমতী, এসো পূর্ণ করো’।। শিল্পী মানস রায়ের শৈল্পিক ভাবনায় সেজে উঠছে মন্ডপ। পুজোর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মণ্ডপ গড়া হচ্ছে। আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা গড়ছেন সনাতন পাল। আবহ তৈরি করছেন ক্যাকটাস ব্যান্ডের গায়ক সিধু। ভাষ্যে রয়েছেন দেবদূত ঘোষঠাকুর। আলোর দায়িত্বে রয়েছেন দেবাশিস দাশ ও প্রচ্ছদের দায়িত্বে রয়েছেন দীপকুমার দেব।
Kolkata's 'Durga Puja' pandal breaking taboo with its menstrual hygiene theme
Read @ANI Story | https://t.co/pEgq9E2KQE#DurgaPuja #Kolkata #WestBengal pic.twitter.com/l2DTP83EQ2
— ANI Digital (@ani_digital) October 13, 2023