২০২৪ সালের ১২ এপ্রিল চৈত্র নবরাত্রির চতুর্থ দিন। এই দিন পুজো করা হয় মা কুষ্মাণ্ডার। মান্যতা রয়েছে দেবী কুষ্মাণ্ডা তার স্নিগ্ধ ও মৃদু হাসির মাধ্যমে সৃষ্টি করেছিলেন মহাবিশ্ব। এছাড়াও মান্যতা রয়েছে দেবী কুষ্মাণ্ডার তেজের কারণে মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তু ও প্রাণীর মধ্যে তেজের জন্ম হয়েছে। দেবী কুষ্মাণ্ডার পুজো করলে রোগ-শোক দূর হয়।
চৈত্র শুক্লপক্ষের চতুর্থীর দিনে করা হয় দেবী কুষ্মাণ্ডার পুজো। ২০২৪ সালে চৈত্র শুক্লপক্ষের চতুর্থী শুরু হবে ১১ এপ্রিল, বিকেল ০৩:০৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ১২ এপ্রিল, দুপুর ০১:১১ মিনিটে। উদয়তিথি অনুযায়ী, ১২ এপ্রিল সকালে স্নান করে সবুজ রঙের কাপড় পরে কুষ্মাণ্ডা দেবীকে অর্পণ করতে হবে সবুজ বস্ত্র, মেহেন্দি ও চন্দন। দেবী কুষ্মাণ্ডাকে নিবেদন করা যেতে পারে মালপুয়া।
অজ্ঞতার চেয়ে বড় অন্ধকার আর কিছু নেই। জ্ঞান ছাড়া সফলতা অর্জন হয় না। এই অন্ধকার মহাবিশ্বে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে ছিলেন মা কুষ্মাণ্ডা। মা কুষ্মাণ্ডার আটটি হাত থাকায় তাঁকে অষ্টভুজাও বলা হয়। তাঁর সাত হাতে যথাক্রমে রয়েছে- কমন্ডল, তীর, ধনুক, পদ্মফুল, অমৃতের পাত্র, চাকতি ও গদা। মা কুষ্মাণ্ডার অষ্টম হাতে রয়েছে একটি জপমালা, যা সমস্ত কৃতিত্ব এবং সম্পদের প্রতীক। মা কুষ্মাণ্ডার বাহন হল সিংহ। দেবী দুর্গার কুষ্মাণ্ডা রূপের পুজো করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে।