আজমীর শরীফে অনুষ্ঠিত উরস একটি বিখ্যাত বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় তীর্থস্থান। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি ইসলামিক মাস রজবের চাঁদ দেখার পর শুরু হয়েছে রাজস্থানের আজমীরের খাজা মইনুদ্দিন হাসান চিশতীর ৮১৩তম উরস এবং এর সঙ্গে শুরু হয়েছে উরসের ধর্মীয় নিয়মও। দরগাহ শরীফ আজমীরকে ১৩ শতকের সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতীর শেষ বিশ্রামস্থল বলে মনে করা হয়। এটি ভারতের অন্যতম পবিত্র ধর্মীয় স্থান। আজমীর শরীফ দরগায় রয়েছে সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির সমাধি। তিনি খাজা গরীব নওয়াজ নামেও পরিচিত।
মইনুদ্দিন চিশতী ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক এবং করুণাময় আধ্যাত্মিক প্রচারক, যিনি আধ্যাত্মিক অলৌকিক কাজ করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আজমীর শরীফের দরগাহ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটি শ্রদ্ধার স্থান, যা হিন্দু ও মুসলমান উভয়কেই আকর্ষণ করে। রাজস্থানের আজমীরে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় প্রতি বছর পালন করা হয় উরস শরীফের উৎসব। মইনুদ্দিন চিশতীর মৃত্যুবার্ষিকী উরস নামে পরিচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান যা বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীকে আকর্ষণ করে। উৎসবটি ৬ দিন ধরে চলে এবং এতে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান হয়।
আজমীর শরীফে প্রতি বছর ইসলামিক ক্যালেন্ডারের রজব মাসে পালন করা হয় উরস। চাঁদ দেখা গেলেই শুরু হয় এই উৎসব। কোনও কারণে চাঁদ দেখা না গেলে পরের দিন থেকে শুরু হয় ৬ দিনের উরসের অনুষ্ঠান। এই উৎসবের ষষ্ঠ দিনকে বলা হয় উরস-ই-ছঠি শরীফ। এই বছর ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে ৮১৩ তম উরস মহোৎসব। উরসের সময় দরগার প্রাঙ্গণে সারা রাত জিকির ও কাওয়ালি চলে। এই সময়ে দেশ ও বিশ্ব থেকে লক্ষাধিক ভক্ত আজমীরে পৌঁছান। আজমীর উরস শেষ হবে ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি। ৮ জানুয়ারি পড়া হবে জুমার নামাজ। ৭ জানুয়ারি ছোট বংশের নিয়ম এবং ১০ জানুয়ারি দরগায় খাদিম সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বড় বংশের অনুষ্ঠান হবে।