হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, আষাঢ় অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই উৎসবটি পূর্বপুরুষদের পুজোর জন্য উৎসর্গ করা হয়। পূর্বপুরুষদের খুশি করার জন্য পুজো করা হয় এই দিনে। পূর্বপুরুষদের মুক্তির জন্য এদিন আয়োজন করা হয় তর্পণ, পিন্ড দান, গায়ত্রী পাঠ। ২০২৪ সালে আষাঢ় অমাবস্যা পালন করা হবে ৫ জুলাই। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অমাবস্যা হল মহাবিশ্বের কার্যকলাপের সেই পর্যায় যখন চাঁদ আকাশে প্রায় অদৃশ্য অবস্থায় থাকে। এই সময়কালে চাঁদের শক্তি খুব কম থাকার কারণে অমাবস্যার রাত হয় খুব অন্ধকার, তাই এই দিনে সক্রিয় থাকে নেতিবাচক শক্তিও।
চাঁদ আবেগের প্রতিনিধিত্ব করে, তাই এই উপলক্ষে ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মতো আধ্যাত্মিক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হন অনেকেই। এই দিনে গঙ্গা নদীতে পবিত্র স্নান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন বাড়িতে ব্রাহ্মণদের নিমন্ত্রণ করা হয় এবং পূর্বপুরুষদের নামে তাদের খাওয়ানোর সঙ্গে বস্ত্র ও দক্ষিণা দেওয়া হয়। মান্যতা রয়েছে যে এই দিনে পিতৃপুরুষদের খাওয়ালে পিতৃপুরুষদের আত্মা তৃপ্তি পায়। ২০২৪ সালে আষাঢ় অমাবস্যা শুরু হচ্ছে ৫ জুলাই সকাল ০৪:৫৭ মিনিটে এবং শেষ হবে ৬ জুলাই সকাল ০৪:২৬ মিনিটে। অমাবস্যার দিনে কিছু কাজ ভুল করেও করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই কাজগুলো সম্বন্ধে।
অমাবস্যার দিনটি শুভ বলে মনে করা হয় না, তাই এই দিনে মুণ্ডন, গৃহ প্রবেশ, বিবাহের মতো কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। এই দিনে বৃদ্ধ, গরীব, ভিক্ষুকের মতো কাউকেই অপমান করা উচিত নয়, এতে পিতৃদোষ হতে পারে। এই দিনে গরীব বা অসহায় মানুষকে দান করা উচিত নয়। অমাবস্যার দিন চুল বা নখ কাটা উচিত নয়, এতে আর্থিক সমস্যা হতে পারে। অমাবস্যার দিনে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেশি থাকে। তাই এই দিনে পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অমাবস্যার দিনে মাংস ও মদ খাওয়া উচিত নয়, এটি অশুভ বলে মনে করা হয়। অমাবস্যার দিনে ঝাঁটা কেনা উচিত নয়। এই দিনে ঝাঁটা কিনলে দেবী লক্ষ্মী রাগ করতে পারেন এবং আর্থিক সমস্যায় পড়তে হতে পারে।