নয়াদিল্লি : পৃথিবীর সুন্দর সম্পর্কগুলির মধ্যে একটি হল বাবা ও সন্তানের সম্পর্ক। বাবা শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভালোবাসা, নির্ভরতা ও ভরসার ছায়া। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বাবা-মা দুজনই সন্তানকে লালনপালন করে বড় করে তোলেন। কারও দায়িত্ব কারও চেয়ে কম নয়। বর্তমান সময়ে অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনই উপার্জন করেন। কিন্তু এখনো আমাদের দেশের অনেক পরিবারে বাবাই একমাত্র উপার্জন করে থাকেন । সন্তানকে মানুষ করার জন্য বাবারা তাঁদের সখ আহ্লাদ দূরে রেখে সুধু সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে ব্যাস্ত থাকেন। মা-এর পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ এ ধারণা ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করে। বাবাদের স্মমান জানাতে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস (Fathers Day) পালন করা হয়।
প্রথম বাবা দিবস কবে এবং কোথায় পালিত হয়?
১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে বাবা দিবস উদযাপন শুরু হয়। বাবা দিবস প্রথম পালিত হয় ওয়াশিংটনের স্পোকেনে শহরে। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই দিনটি শুরু করেছিলেন এক কন্যা। বাবা দিবস উদযাপনের পিছনে এই মেয়ে ও তাঁর বাবার একটি মিষ্টি ভালবাসার গল্প রয়েছে।
বাবা দিবস কেন শুরু হলো?
ওয়াশিংটনে বসবাসরত সোনোরা নামের একটি মেয়ের মায়ের মৃত্যুর পর বাবা তাকে একাই বড় করেছেন। বাবা কন্যাকে মায়ের মতো ভালবাসা দিয়েছেন, তাঁকে সবকিছু থেকে রক্ষা করেছেন এবং অনেক যত্ন করে বড় করেছেন।
সোনেরা ডডের মা যখন মারা যান তিনি শিশু ছিলেন। বাবা উইলিয়াম স্মার্ট সোনেরোকে তাঁর জীবনে কখনোয় মায়ের অভাব অনুভব করতে দেননি। তিনি বড় হয়ে আনা জার্ভিসের মা দিবস উদযাপনের থেকে প্রভাবিত হন। এরপর তিনি ভাবেন একটা দিন বাবার নামেও রাখা জেতে পারে। এরপর তিনি দিনটি পালনের জন্য তিনি সমস্তরকম উদ্যোগ নেন।
এভাবেই ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবস পালিত হয়। ১৯২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলি বাবা দিবসে সম্মতি দেন। তারপর ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন জুন মাসের তৃতীয় রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস উদযাপনের কথা ঘোষণা করেন। ১৯৭২ সালে আমেরিকায় বাবা দিবসটিকে একটি স্থায়ী ছুটি ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার সারা বিশ্বে বাবা দিবস পালন হয়ে আসছে।