নয়াদিল্লি, ১১ জুন: দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্য়া ছাড়িয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৯৯৬। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮,১০২। এখন প্রশ্ন উঠছে একটাই। ভারত কী কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের (community transmission) পর্যায়ে পৌঁছেছে কী পৌঁছায়নি। আরও পড়ুন: NIRF Rankings 2020: দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ; তালিকায় আইআইএম কলকাতা, যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন জানিয়েছিলেন, ৫০ শতাংশ আক্রান্তকারীদের ক্ষেত্রে কোবিড-১৯-র যথাযথ উৎস্য মিলছে না। যদিও রাজ্যে কী আদৌ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে? তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০ হাজার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানাচ্ছেন, "কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এখনও শুরু হয়নি বলেই আমার বিশ্বাস।"
মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে তামিলনাড়ু। এরাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬,৮৪১। মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পালানাস্বামী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, "তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়নি।"
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কী?
কোনও ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে যখন কোনও ভ্রমণের ইতিহাস নেই কিংবা তিনি কোনও করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিরও সংস্পর্শে আসেননি, তা স্বত্ত্বেও যদি সেই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হন। তাহলে তাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলে। এই স্টেজে যেকোনও ব্যক্তির আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভারতে কী সত্যিই শুরু হয়েছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন?
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বেশ কিছু প্রতিবেদনেও দাবি করা হচ্ছে, ভারতেও শুরু করে গেছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও চিকিৎসা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। তবে এটি প্রকাশ্যে না আসার কারণ একটাই। পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশে এখনও করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না।