নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: বাম বিরোধী বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই ঐশী ঘোষের (Aishe Ghosh) উপরে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। পুরো প্রেক্ষাপট তৈরি করার পরেই চলে হামলা। এমনকিছু হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) মেসেজের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরপরেই সরাসরি অভিযোগের তির ঘুরে গিয়েছে বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এবিভিপির (ABVP) দিকে। ঐশী ঘোষের রক্তাক্ত ছবি ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের তরফে হামলার দায়ও স্বীকার করে নেওয়া হয়। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে হামলার আগে কেউ লিখেছেন, ‘তোড় দো সালো কো’। ‘সালো কো হস্টেল মে ঘুস কর তোড়ে’, ‘মজা আ গ্যয়া, ইন সালো কো দেশদ্রোহীও কো মারকে’, ‘বিলকুল, এক বার ঠিক সে আর পার করনে কি জরুরত হ্যায়, অভি নেহি মারেঙ্গে সালো কো, তো কব মারেঙ্গে...’
এদিকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ভাইরাল হতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের প্রত্যেকের দাবি, তারা এসব মেসেজ পাঠায়নি। কেউ বলছে বন্ধুরা পোস্ট করেছে। কারওর দাবি. মোবাইল হ্যাক করে এসব করা হয়েছে। একজন তো নিজেকে জেএনইউ-র স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর গবেষক হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি প্রথমে বলেন সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে যা নয় তাই রটাচ্ছে। তারপর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হলেও একাজ তার নয়। কেউ তাঁর ফোন ব্যবহার করে এসব কুকর্ম করেছে। যদিও এই ছাত্র নিজেকে এবিভিপির সদস্য হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন। ঐশী ঘোষকে আক্রমণ করতে গেলে ঠিক কোন দিক থেকে হামলা করতে হবে, তার ছকও কষা হয়েছে মেসেজে। আরও পড়ুন-JNUSU President Aishe Ghosh's Grand Mother: ‘৫ জনের জন্যে লড়তে গেলে আক্রান্ত হতেই পারে, আমি ওর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি’, কী বললেন ঐশীর দিদিমা? (ভিডিও)
There was a BJP group called “Unity Against Left” where today’s JNU mobilisation plans were discussed, as @BDUTT tweeted.
The right wing stupidly shared the group link, and many others started joining. Some joined silently to extract info.
Others stupidly started trolling. pic.twitter.com/JQp7ve7fNL
— Shivam Shankar Singh (@ShivamShankarS) January 5, 2020
জানা গিয়েছে, ‘ইউনিটি এগেনস্ট লেফ্ট’, ‘লেফ্ট টেরর ডাউন ডাউন’, ‘ফ্রেন্ডস অব আরএসএস’, ‘জেএনইউনাইটস ফর মোদি’- এই রকম নামের একাধিক গ্রুপে এমন সব মেসেজ পোস্ট করা হয়েছে। যাতে হামলার আগের পরিকল্পনা এবং হামলার পরের ‘উল্লাস’ প্রকাশ করা হয়েছে। এই গ্রুপগুলির নাম এবং একাধিক সদস্যের পরিচয় জানার পর স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগের তির আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির দিকে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ওই গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের সিংহ ভাগই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।