কলকাতা, ৬ জানুয়ারি: গতকাল সন্ধ্যায় জেএনইউ-র ক্যাম্পাসে একদল দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হন ছাত্রসংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ (JNUSU President Aishe Ghosh)। অভিযোগ, আক্রমণকারীরা এবিভিপির সদস্য। পরিকল্পনা মাফিকই তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছিল বলে খবর। এই হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষের রক্তাক্ত মুখের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। দেশজুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। প্রথমে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া আর তারপরে জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি, একের পর এক হামলায় কেন্দ্রের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। ঐশীর সমর্থনে সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃ্ত্ব, সেলিব্রিটি সকলেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। টিভিতে নাতনির রক্তাক্ত মুখ দেখে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন বৃদ্ধা দিদিমা। তবুও তিনি মনে করেন, বৃহত্তর স্বার্থে লড়লে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এককথায় ঐশীর সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান জানান। মূল্যবৃদ্ধির চাপের কাছে আজ শিক্ষা যে নতি স্বীকার করছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। প্রতিটি ইচ্ছুক পড়ুয়া যাতে পড়তে পারেন এমনটাই চান ঐশী ঘোষ। তাঁর এই চাওয়াতে কোনও অন্যায় দেখছেন না, ওই তরুণ নেত্রীর দিদিমা। তাঁর দাবি, ঐশী অনেকদিন ধরে লড়ছে। ও সবার জন্য লড়ছে। এরকম পরিস্থিতিতে আঘাত আসবে এটা স্বাভাবিক। তবে এতে ভয় পেলে চলবে না। মন তো দুর্বল হয়ই। মাঝে মাঝে ওর ঝুঁকির কথা মনে করে ভয়ও করে। তবুও নাতনির নিজস্ব সিদ্ধান্তকে সম্মান করা ছাড়া অন্য কিছু তিনি ভাবতে পারেন না। Free Press Journal-এর তরফে ঐশীর দিদিমার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রেমা রাজারাম (Prema Rajaram) । আরও পড়ুন-Delhi Assembly Election: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন, নির্ঘণ্ট প্রকাশ করলেন সুনীল অরোরা
'I support her decision': JNUSU President Aishe Ghosh's grandmother backs her after JNU violence@prema_rajaram reportshttps://t.co/43r0qLp4Sn pic.twitter.com/btSEzmnlQS
— Free Press Journal (@fpjindia) January 6, 2020
বৃদ্ধা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিবার ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটার মিনিট ১৫ আগেই ঐশী তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তখন সবই ঠিকঠাক ছিল। এরপর কলকাতার এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের তরফেই ঐশীর মাকে ফোন করে তাঁর উপরে হামলার খবর জানানো হয়। ঐশীর সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে কি না তা জানতে চান। এমনকী কেউ ফোন করে কোনও খবর দিয়েছে কি না তা-ও। যাইহোক তারপর জানতে পারেন, নাতনিকে কারা খুব মারধর করেছে। মাথা মুখ ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। এই শুনে ঐশীর মায়ের কান্না থামছে না। সোমবার কাকভোরেই মেয়েকে দেখতে দিল্লি রওনা হয়েছেন তিনি। খব শোনার পর টিভি খুলতেই নাতনির রক্তাক্ত মুখ দেখে শিউরে ওঠেন অশীতিপর দিদিমা। তবে ঐশীরই তো দিদিমা, ভয় পেলে চলে? তাই এখন আর ততটা আতঙ্কিত নন তিনি। তবে নাতনির জীবনের ঝুঁকি তাঁকে ভাবাচ্ছে। কিন্তু তারুণ্যের সিদ্ধান্তকে অস্বীকারও করতে চান না বৃদ্ধা।