Air India Disinvestment Plan Confirmed: আবুধাবির বিমান সংস্থা আগ্রহী, দেনার দায়ে নতুন বছরেই বেসরকারি মালিকানাধীনে এয়ার ইন্ডিয়া
হরদীপ সিং পুরি (Photo Credit: Wikimedia Commons/Facebook)

নতুন দিল্লি, ৩১ ডিসেম্বর: আবুধাবির বিমান সংস্থা ইতিহাদ ভারতের বিমান সংস্থা ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) প্রতি ইতিবাচক আগ্রহ দেখিয়েছে। পরিবেশ পরিস্থিতি যা বলছে হয়তো নতুন বছরেই এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা হাতবদল হয়ে যাবে। এরপরেই সমস্ত ঢাক ঢাক গুড় গুড় দূরে সরিয়ে রেখে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি (Civil Aviation Minister Hardeep Singh Puri) জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ হচ্ছে। কেননা কেন্দ্রের হাতে বিকল্প কোনও উপায় আর অবশিষ্ট নেই। তবে এয়ার ইন্ডিয়া বেসরকারি মালিকানাধীনে চলে গেলে যাত্রী ভাড়া ক্রমবর্ধমান হবে। আর তা নিয়ন্ত্রণের কোনও ক্ষমতাই কেন্দ্রের হাত থাকবে না। তিনি আগেও যে একথা বলেননি তা নয়, আজ ফের মনে করিয়ে দিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকান বিক্রি করছে কেন্দ্র।

এদিন হরদীপ পুরির কাথে জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন বছরে এয়ার ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে। তারই উত্তরে পুরি জানিয়েছেন, “আমি আগেও বলেছি, আমাদের হাতে কোনও বিকল্প না থাকায় এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার। নতুন বছরেই মালিকানার হাতবদল হবে। তবে ঠিক কোনও দিনে হচ্ছে তা এখনও ঠিক হয়নি। আসলে আমরা তো আর দাসানুদাস নই, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা যাতে বদলে যায় সেই প্রক্রিয়াকেই দ্রুতগামী করা হচ্ছে।” আরও পডুন-Coldest Places In India: এই শীতে লখনউ থেকে কাশ্মীরে চলছে শৈত্য প্রবাহ, ১১৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে কাঁপছে উত্তর ভারত

উল্লেখ্য, ক্রেতা না মিললে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া বন্ধ করে দিতে হতে পারে। জোড়াতালি দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়ান সংস্থাটি বেশি দিন চালানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন সংস্থার এক পদস্থ কর্তা। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী গত মাসে মন্তব্য করেছিলেন, ‘২০২০ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ না হলে উড়ান সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যাবে।’ মন্ত্রীরই সুরে সংস্থার ওই কর্তা জানিয়েছেন, ক্রেতা না মিললে জেট এয়ারওয়েজের পথ ধরেই জুন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে ‘মহারাজা’। পাশাপাশি, যে ১২টি বিমান এখন বসে রয়েছে, সেগুলিকে ফের চালানোর জন্য এখনই তহবিল প্রয়োজন। এয়ার ইন্ডিয়া-র ঘাড়ে সম্মিলিত ঋণভার প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকা এবং সরকার এখনও উড়ান সংস্থাটির বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছে।