Vizag Gas Tragedy: রাতে ফের বিশাখাপত্তনমের এলজি-র কারখানা থেকে গ্যাস লিকের খবর, প্রাণ বাঁচাতে ফাঁকা করা হল ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যের গ্রাম
ভাইজ্যাগ গ্যাস লিক (Photo Credits: ANI)

বিশাখাপত্তনম, ৮ মে: শুধু ভোরবেলাতেই নয়, রাত বাড়লেও ফের বিশাখাপত্তনমের ওই কারখানা থেকে গ্যাস লিক শুরু হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কারাখানা লাগোয়া আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। বাড়ি ছেড়ে লোকে রাস্তায় বেরোতে থাকেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে হাত লাগায় দমকলের ৫০ জন কর্মী ও জাতীয় বিপর্য় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) একটি দল। বিশাখাপত্তনমের দমকল কর্তা সন্দীপ আনন্দ জানান, নিরাপত্তার কারণে আগেভাগেই কারখানা লাগোয়া ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা গ্রামগুলি খালি করার কাজ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে রয়েছে। আছে দু'টি ফোম টেন্ডারও। দমকলের কর্মীরা গ্যাস লিক বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে রাসায়নিক গ্যাস লিককে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam)। সেখানকার আরআর ভেঙ্কটাপুরম গ্রামে রয়েছে এল জি পলিমারস ইন্ডাস্ট্রি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকেই বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস লিক হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যাস লিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কারখানা লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের চোখ জ্বলতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট বলছে, খবর পেয়েই আক্রান্তদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স। স্থানীয় প্রশাসন ও নৌবাহিনীর কর্তারা এল জি পলিমার ইন্ডাস্ট্রি লাগোয়া পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।শিশু-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক হাজারেরও বেশি মানুষ। অসুস্থদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনডিএমএ বিশাখাপত্তনমের এই ঘটনাকে রাসায়নিক বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছে। আরও পড়ুন-AYUSH Medicines' Clinical Trials: করোনা রুখতে এবার কাজ করবে অশ্বগন্ধা যষ্টিমধু, ভারতে আজ থেকে শুরু আয়ুর্বেদের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ

এদিকে বিশাখাপত্তনম গ্যাস দুর্ঘটনার পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। একই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। গ্যাস দুর্ঘটনার খবর হতেই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীকে তা জানান জগনমোহন রেড্ডি। উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধারকাজ নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তথ্য দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ বলে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। এদিকে, ওই কারখানার মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।